২০২৩- এ জেল মুক্ত হলোনা কেস্ট কন্যা সুকন্যা। এ বছর আর তিহাড়-মুক্তি হল না কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। স্থগিত হয়ে গেল সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি। দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন সুকন্যা। আজ ছিল তার শুনানী। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছেন পরবর্তী শুনানি হবে ১০ জানুয়ারি, ২০২৪। অর্থাত্ এ বছর দিল্লি হাইকোর্টে আর এই মামলার শুনানির আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
আদালতের আজকের শুনানী অনুযায়ী যদি হয়, তাহলে আগামী চার মাস আর হাইকোর্ট থেকে জামিন পাবেন না সুকন্যা। অন্যদিকে জামিনের আবেদন করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও। অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি ২৭ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুনঃ বিধানসভার আলোচনা বৈঠকে অনুপুস্থিত বিধায়কদের কাছে জবাব তলব তৃণমূলের
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা মণ্ডল। তাঁকে তিহাড় জেলেই রাখা হয়। সম্প্রতি সুকন্যা মণ্ডলের আইনজীবী নিয়ে একটা সমস্য়া তৈরি হয়। এর আগে শুনানির পূর্বেই তাঁর আইনজীবী সরে দাঁড়ান মামলা থেকে। এর ফলে রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট হোক বা দিল্লি হাইকোর্ট, সুকন্যার মামলা আদালতে উঠলে তাঁর হয়ে লড়ার আইনজীবীর অভাব। আইনজীবী সংক্রান্ত একটা সমস্যায় ভুগছেন সুকন্যা মণ্ডল। এদিকে যেহেতু এই মুহূর্তে তিনি তিহাড় জেলে রয়েছেন, ফলে তাঁর পক্ষে নিজের আইনজীবী নিজে ঠিক করাও সম্ভব হচ্ছে না।
আইনজীবী নিয়ে একটা বিড়ম্বনা রয়েছে কেষ্ট-কন্যার। এরমধ্যে আবার দিল্লি হাইকোর্টে জামিন মামলাও অনেকটাই পিছিয়ে গেল। আইনজ্ঞরা বলছেন, সুকন্যা চাইলে যেকোনও সময় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। চাইলে আইনজীবী না পাওয়ার বিষয়টি তিনি মেনশন করতে পারেন দিল্লির বিশেষ আদালত রাউজ অ্যাভিনিউয়ে। তবে যা পদক্ষেপই করতে চান না কেন, তাঁর আইনজীবী দরকার।
পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে গরুপাচার মামলায় একটি পৃথক চিত্র সামনে এসেছিল। সেসময় একদিকে তখন দোড়গড়ায় ছিল পঞ্চায়েত ভোট। যখন অনুব্রতহীন বীরভূমে জনসংযোগ যাত্রায় ঝড় তুলছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ঠিক তখনই অন্যভাবে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মন্ডলকে। বেতন (Salary) পাচ্ছেন না কর্মীরা, চাল কলের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তিহাড় থেকে আসানসোল আদালতে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
অপরদিকে, দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের পর দোলপূর্ণিমার দিন দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। ইডি হেফাজত শেষে তিহাড় জেলে যান বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিকে গ্রেফতার হন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তাঁকেও তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। তবে আসানসোল থেকে তিহাড় জেলে যাওয়ার পর, ফের আসানসোলে ফেরার জন্য় দিল্লির আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।