আরজি করের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি চিকিৎসদের ,ক্যান্টিন থেকে শৌচাগার, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শহরের সরকারি হাসপাতালে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। শুধু টেন্ডারের ক্ষেত্রেই নয়, চিকিৎসক বদলির ক্ষেত্রেও অধ্যক্ষের কারসাজি ছিল বলে অভিযোগ। সেই বিষয়েই এবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনকে তদন্ত করার পরামর্শ দিলেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? সেই প্রশ্নই তুলেছেন চিকিৎসক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ।
এসিবি-কে ১৫ দফা অভিযোগ জানিয়েছিলেন আখতার আলি। ক্যাফে, ক্যান্টিন বা সুলভ শৌচালয় থেকে স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি ছাড়া জিনিসপত্র সরানো হয়েছে, টেন্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানো হয়েছে বলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আখতার আলি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের বদলির ক্ষেত্রেও হাত থাকত অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তিনি বদলির ক্ষেত্রে প্রভাব খাটাতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন- মানিকের জিজ্ঞাসাবাদে খুশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, CBI-কে বললেন ভাল কাজের জন্য ধন্যবাদ
রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে চিকিৎসক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে প্রকাশ্যে, তা সত্ত্বেও কোনও ব্য়বস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। মূলত অভিযোগ জানিয়েছিলেন আর জি করের প্রাক্তন নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই দুর্নীতি দমন শাখা (ACB) গত সোমবারই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করতে বলেছে স্বাস্থ্য ভবনকে। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই ইস্যুতেই এবার আসরে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।