চলতি সপ্তাহেই তাণ্ডব, ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডকসুরি’, কবে তা আঘাত হানতে পারে? তাণ্ডব চালাচ্ছে সুপার টাইফুন! লণ্ডভণ্ড ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চল। জানা গিয়েছে, এই সুপার টাইফুনটির নাম দেওয়া হয়েছে ডকসুরি। এতে এখনও পর্যন্ত কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরে যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাদের টাইফুন বলে। প্রত্যেক বছর চিন, তাইওয়ান এবং জাপানে আঘাত হানে টাইফুন। সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল এর নামকরণ করা হয় ডকসুরি। আবহাওয়াবিদরা এই টাইফুনটিকে ‘সুপার টাইফুন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই সপ্তাহেই প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। তা শক্তি সঞ্জয় করে ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে।জানা গিয়েছে,এই টাইফুনটির ল্যান্ডফল হয়েছে ২৬ জুলাই রাত ৩টে নাগাদ।তা আছড়ে পড়েছিল ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চলে ফুগা দ্বীপে।সমতলে আছড়ে পড়ার সময় এই টাইফুনটির গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।
চিনেও কি আছড়ে পড়তে পারে এই টাইফুন?জানা গিয়েছে,চিন দুই নম্বর সতর্ক সংকেত বাড়িয়ে তিন নম্বর করেছে।ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে চিনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র।এই সপ্তাহের শেষেই পূর্ব চিনে আঘাত করতে পারে এই সুপার টাইফুন ডকসুরি,এমনটাই প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।সেই দেশের প্রশাসন এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোতাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে,ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষ এই টাইফুন মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।প্রায় ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেই দেশের প্রশাসন।কিন্তু,প্রবল শক্তিতে আঘাত করে টাইফুনটি একাধিক ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে।জানা গিয়েছে,একাধিক মানুষের ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে।রিজাল প্রদেশে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
আরও পড়ুন – ডায়মন্ডহারবারেই অভিষেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের
ডকসুরিকে সুপার টাইফুন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।জানা গিয়েছে,প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া এই টাইফুন ডকসুরি যে সময় তৈরি হয়েছিল সেই সময় সেখানে বাতাসের গতি ছিল সর্বোচ্চ ১৫০ থেকে ২৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।যদিও ফিলিপিন্সে আঘাত করার পর তা অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে এবং তাইওয়ান ও চিনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।ইতিমধ্যেই এই টাইফুনের জন্য বিমান পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে তাইওয়ানে।সেখানে ৫০টি আভ্যন্তরীণ বিমান এবং চারটি আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।