১৬৫৭ দিন পর ডার্বিতে জয় ইস্টবেঙ্গলের, ম্যাচ শেষে কী বলছেন ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন? হরমনজ্যোত খাবরা কলকাতা ময়দানের অন্যতম চরিত্র। অতীতে এখানে খেলে গিয়েছেন। দীর্ঘ সাত বছর পর ইস্টবেঙ্গলে প্রত্যাবর্তন। তিনি ফিরতেই ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জয়ের অপেক্ষার অবসান হল। ক্লেটন সিলভা শহরে পৌঁছলেও খেলেননি। এই ম্যাচেও ইস্টবেঙ্গলকে নেতৃত্ব দিলেন হরমনজ্যোত সিং খাবরা। তাঁর নেতৃত্বে ডার্বি জয়। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য প্রবল উচ্ছ্বসিত খাবরা। ম্যাচ শেষে কী বলছেন ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন?
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা হয়তো সবচেয়ে বেশি খুশি হলেন, তাঁর মুখে জয় ইস্টবেঙ্গল শুনে। ডার্বির গুরুত্ব বুঝিয়ে খাবরা বলেন, ‘সকলেই জানে ডার্বি শুধুই একটা ফুটবল ম্যাচ নয়, এটা আবেগ। আর এই ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব টিমের সঙ্গে যুক্ত সকলের। আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, মাঠে নেমে সকলে মিলে বাস্তবায়িত করেছে। আগামী দিনেও আমরা এটা করতে পারলে, সমর্থকদের আরও আনন্দ দিতে পারব। জয় ইস্টবেঙ্গল।’ নন্দকুমারের গোল প্রসঙ্গে যোগ করলেন, ‘পুরো টিম ভালো খেলেছে। অবশ্যই নন্দ কুমার ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে গোল করেছে। তবে সবটাই টিম গেম। সকলকেই কৃতিত্ব দিতে হবে।’
আরও পড়ুন – গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির আশঙ্কা, প্রবল বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে
বড় ম্যাচের শেষ মুহূর্তে প্রবল বৃষ্টি। প্লেয়াররা যখন স্টেডিয়াম ছাড়ছেন তখনও পুরোপুরি কমেনি। হরমনজ্যোত খাবরা হাসি মুখেই বেরিয়ে এলেন। বাইরে সমর্থকরা অপেক্ষায়। সংবাদমাধ্যমও অপেক্ষায়। এই ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলকে সকলেই পিছিয়ে রেখেছে। ডার্বিতে যে কাউকে এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে রাখা যায় না, আরও এক বার মনে করিয়ে দিলেন খাবরা। ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক বলছেন, ‘ডার্বি ম্যাচে আন্ডারডগ বলে কিছু নেই। ম্যাচ শূন্য থেকে শুরু হয়। এরকম একটা ম্যাচ জিতে নিঃসন্দেহে ভালো লাগছে। সমর্থকদের জন্য বেশি আনন্দ হচ্ছে। সমর্থকরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছে। কৃতিত্ব দিতে হবে, টিম ম্যানেজমেন্ট ও সাপোর্ট স্টাফদেরও। ওরা ধৈর্য রেখেছে। মাথা উঁচু করে আমাদের আরও পরিশ্রম করে যেতে হবে। এখনও অনেকটা পথ বাকি। মাটিতে পা রেখে চলতে হবে।’