ইডিকে মৌখিক রক্ষাকবচ আদালতের, কলকাতা পুলিশকে বারন করা হলো হয়রান করতে

রেশন দুর্নীতি কান্ডে এবার উঠে এল বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অভিষেকের মতোই ইডিকেও মৌখিক আশ্বাসবাণীই দিয়েছে আদালত। নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় তৃনমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইডি। কলকাতা হাই কোর্টে অভিষেকের রক্ষাকবচের আর্জির জবাবে তারা বলেছিল, কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সেই ইডিই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নিজের জন্য রক্ষাকবচ চেয়ে। কলকাতা হাই কোর্ট তাদের খালি হাতে ফেরায়নি। তবে পুরদস্তুর রক্ষাকবচও দেয়নি। অভিষেকের মতোই ইডিকেও মৌখিক আশ্বাসবাণীই দিয়েছে আদালত। আপাতত সেটিই ইডির একমাত্র ভরসা।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালকে ১৫ দিনের মদ্ধ্যে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার আইনী নোটিশ পাঠাল ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য

বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডিকে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। বিচারপতিকে ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেছিলেন, ‘‘তদন্তে নেমে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ইডির কর্তারা।’’ এমনকি, বার বার ইডির অফিসারদের চিঠি পাঠিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আদালতকে তিনি জানান, এই সব কিছুর মূলে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা বলে পরিচিত লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডির তল্লাশির ঘটনাটি। লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা নিয়ে তাঁদের নানা দিক থেকে চেপে ধরছে কলকাতা পুলিশ।

 


এ ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি বলে, ‘‘তদন্ত আটকাতে নানা দিক থেকে চেপে ধরা হয়েছে। আমরা তদন্ত করব নাকি আদালতে দৌড়ে বেড়াব। সব বিষয় নিয়ে আমাদের কোর্টে আসতে হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে তদন্ত।’’

আরও পড়ুনঃ সারাদিনে বারেবারে চা খাওয়া অভ্যাস? চিনির পরিবর্তে গুড় মিশিয়েও খেতে পারেন, জেনে নিন গুড়ের উপকারিতা


ইডির এই আবেদন শোনার পর বৃহস্পতিবার মামলা ফাইল করতে বলেছিলেন বিচারপতি সিংহ। পরে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি, ইডির আইনজীবী এবং রাজ্যের আইনজীবীর মধ্যে এক প্রস্ত কথোপকথন হয়। রাজ্যের আইনজীবীর মধ্যে এক প্রস্ত কথোপকথন হয়। বিচারপতি সিংহ এর পরই নির্দেশ দেন, যে হেতু এ বিষয়ে মামলা ফাইল করতে পারেনি ইডি। তাই আদালত সরাসরি কোনও নির্দেশ দেবে না। তবে নির্দেশ না দিলেও মৌখিক ভাবে বিচারপতি বলেন, ‘‘আশা করব এর পরে আর ইডির অফিসারদের চিঠি পাঠাবে না কলকাতা পুলিশ। হয়রানির অভিযোগ বন্ধ হওয়া দরকার।’’

en.wikipedia.org