প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে এবার নয়া তদন্তকারী অফিসার। মিথিলেশ কুমারকে সরিয়ে তার জায়গায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হয়ে এলেন মুকেশ কুমার। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই মিথিলেশ কুমারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, মিথিলেশ কুমারের নেতৃত্বে যে তদন্ত চলছিল, তাতে গতি এগোচ্ছিল না। নির্দেশনামায় উল্লেখ ছিল, ইডির ডিরেক্টরকে ৩ অক্টোবরের তদন্ত নিয়ে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে বলতে হবে। তারপরই ইডি-র তরফ থেকে এই পদক্ষেপ। সুত্রের খবর ইতিমধ্যেই মুকেশ কুমার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কীভাবে দ্রুত এই মামলার নিস্পত্তি করা যায় সেই ব্যাপারে তিনি বাকি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লি-র সদর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা সেরেছেন। ইতিমধ্যেই এই মামলার কেস ডায়েরি হস্তান্তরিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কামদুনির রায় ঘোষণার পর আজ শুভেন্দুর নেতৃত্বে পথে নামবে বিজেপি
সুত্রের খবর, মুকেশ কুমারের পাশাপাশি আরও এক নয়া তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করা হবে। সেই নয়া অফিসার মুকেশ কুমারের সহযোগী হিসাবে নিযুক্ত হবেন। তবে সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি বিচারপতি সিনহার ভর্ৎসনার মুখে পরেছিলেন মিথিলেশ কুমার। শুনালি চলাকালীন মিথিলেশের বিরুদ্ধে একাধিক কড়া মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। ইডি-র আধিকারিককে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের তদন্ত করার জন্য কি আদৌ প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁর? তিনি কি আসলে এই তদন্ত থেকে অব্যহতি চাইছেন? তাঁর কি মনে হচ্ছে, আরও তদন্তকারী অফিসার প্রয়োজন? বিচারপতির কথায়, “আমি কেমন যেন একটা গন্ধ পাচ্ছি। আমার তো সন্দেহ যে আপনারাই তথ্য গোপন করছেন।” বিচারপতির এটাও পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি-র আইও মিথিলেশ কুমার আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন। বিচারপতি বলেন, “শুধু এই মামলাতেই নয়, রাজ্যের কোনও মামলাতেই রাখা যাবে না।” তারপরই ইডি-র ডিরেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
ইডি-র আধিকারিককে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের তদন্ত করার জন্য কি আদৌ প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁর? তিনি কি আসলে এই তদন্ত থেকে অব্যহতি চাইছেন? তাঁর কি মনে হচ্ছে, আরও তদন্তকারী অফিসার প্রয়োজন? বিচারপতির এটাও পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি-র আইও মিথিলেশ কুমার আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন। বিচারপতি বলেন, “শুধু এই মামলাতেই নয়, রাজ্যের কোনও মামলাতেই রাখা যাবে না।” তারপরই ইডি-র ডিরেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।