গোসানিমারি বাজারে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে গেল দু’টি বাড়ি ও দু’টি দোকান। দিনহাটার গোসানিমারি বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেল দু’টি বাড়ি ছাড়াও দু’টি দোকান। একটি মোবাইলের দোকান ও একটি মাইকের দোকান ছাড়াও দুটি বাড়ির সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়।রবিবার সন্ধ্যায় দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের গোসানিমারি বাজারে এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হঠাৎ করে এই অগ্নিকাণ্ডে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি শুরু হয়ে গেছে স্থানীয়দের মধ্যে। এদিন এই অগ্নিকাণ্ড গীতা পাল নামে এক আশা কর্মীর বাড়ি ছাড়াও প্রতিবেশী সুরেশ পাল নামে এক ব্যক্তির বাড়ি এবং বাড়ির সাথে থাকা একটি মোবাইল একটি মাইকের দোকানে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে দুইটি বাড়ি ছাড়াও দোকান দুটি সম্পূর্ণ পড়ে যায়। বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা পর আগুন আয়ত্বে আসে। এ দিন এই অগ্নিকাণ্ডে মোবাইলের দোকানের জিনিসপত্র ছাড়াও মাইকের দোকানের সবকিছু যেমন পুড়ে যায় তেমনি দুটি বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সবকিছু পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত ইলেকট্রিকের শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে।
আরও পড়ুন – গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি
যে দু’টি বাড়িতে আগুন লেগেছে তার মধ্যে গীতা পাল নামে এক আশা কর্মী ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত আর একজনের নাম সুরেশ পাল। এছাড়াও মোবাইলের দোকানের মালিক তপা পালের দোকানে থাকা মোবাইল সহ সব কিছু পুড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দমকলের তিনটি ইঞ্জিন দ্রুত ছুটে আসায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তা না হলে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারতো।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাখাল রায়, মিঠুন চক্রবর্তী জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে মনে হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে দুইটি বাড়ি এবং দুইটি দোকান সম্পূর্ণ পড়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সাহায্যে বিষয়টি নিয়ে বিধায়কের সাথে আমরা কথা বলব।