ঝালদা-রানিনগর আবহে এবার অধীরকে খোঁচা ফিরহাদের

ঝালদা-রানিনগর আবহে এবার অধীরকে খোঁচা ফিরহাদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
ঝালদা-রানিনগর আবহে এবার অধীরকে খোঁচা ফিরহাদের

ঝালদা পুরসভা নিয়ে নাটকীয়তা কম হয়নি। বারবার কংগ্রেস কাউন্সিলরদের দলবদলের ফলে রাজ্যের কংগ্রেসের হাতে থাকা একমাত্র পুরসভাও এখন শাসকদলের কাছে চলে গেছে। আবার তার মদ্ধ্যে সম্প্রতি রানিনগর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়েও শুরু হয়েছে নাটকীয়তা। কোর্ট অব্দি পৌঁছিয়েছে এই মামলা। আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশে বোর্ড গঠন স্থগিত রাখা হয়েছে। আর এই আবহে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরিকে খোঁচা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।

 

একদিকে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস যখন কাছাকাছি, তখন বঙ্গ-যুদ্ধ কিন্তু চলছেই। সম্প্রতি এ রাজ্যের দু’টি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনটা বলাই যায়। এক, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। দুই, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এক হাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও।

আরও পড়ুনঃ পাঁচ বছর পর তাঁর বিদেশ যাত্রায় কেন স্পেনকে বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? বিমানবন্দরে তার উত্তর দিয়ে গেলেন মমতা

পুরভোটের পর থেকেই ঝালদা পুরসভায় টানাপোড়েন। এই কংগ্রেস বোর্ড গড়ল, আবার দল ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যেতেই, ঘাসফুলের পাল্লা ভারী। এসবের মধ্যে বোর্ড গড়েছিল কংগ্রেস। সম্প্রতি চার কংগ্রেস কাউন্সিলর-সহ মোট ৫ জন চলে আসে তৃণমূলে। এরপরই রাজ্যের একমাত্র পুরসভা, যেখানে কংগ্রেস ছিল ক্ষমতায়, তাও হাতছাড়া হয়ে যায়।

 

যা নিয়ে অধীর বলেছিলেন, “লুঠ, জবরদখলের সংস্কৃতি তৃণমূলের। সেই সংস্কৃতির শিকার ঝালদা।” যদিও ফিরহাদ হাকিমের দাবি, “একটা ছোট্ট পুরসভা। সেখানে কে কার সঙ্গে ঝগড়া করছে, কে কখন চলে আসছে এভাবে বলা মুশকিল। তৃণমূলে ছিল, কংগ্রেসে গেল, আবার ফিরে এল। এসব নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল।”

 

মুর্শিদাবাদের রানিনগরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করেও কংগ্রেস তৃণমূলের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। কংগ্রেস বোর্ড গঠনে বাধা দানের অভিযোগ তোলে। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়। স্থায়ী সমিতির সভায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবার আদালতের এই নির্দেশ নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী। বলেছিলেন, “তৃণমূলের পেট নাকি ইন্ডিয়ার গেট জানি না।”

 

ফিরহাদ বলেন, “অধীরবাবুর এলাকায় এমনিই অধীরবাবু নেই। একটা বিধায়ক নেই। কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হয়েছিল। নিজের এলাকাতেই সর্বহারা অধীরবাবু। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষ বিশ্বাস করছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিজেপিকে বাংলায় আটকাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বাংলায় অস্তিত্বহীন দলের অস্তিত্ব রাখার পক্ষে মানুষ নয়।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top