মাছের তেল কী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, জানুন

মাছের তেল কী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, জানুন

মাছে ভাতে বাঙালিদের অনেকেরই প্রিয় মাছের তেল। দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে যদি একটু মাছের তেল থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আর সেটা যদি ইলিশ মাছের হয় তাহলে চেটে পুটে সাফ। তবে অনেকেরই ধারণা বড়ো মাছের তেলে ক্ষতি বেশি হয়। এ কারণে খেতে পছন্দ করলেও অনেকেই মাছের তেল থেকে দূরে থাকেন। অনেকেই মনে করেন মাছের সাদা অংশ পুষ্টি জোগায়।  তাই তেল বা চর্বি খাওয়া উচিত নয়। তবে চিকিত্‍সকদের মতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে মাছের তেলের জুড়ি নেই। মাছের তেলে রয়েছে ভাল কোলেস্টেরল। প্রেটিন, ওমেগা-থ্রি ফ্যাট অ্যাসিড, প্রচুর ভিটামিন, আয়োডিন ছাড়াও মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।  পাশাপাশি মাছের ৭০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে অন্যান্য ফ্যাট।

আরও পড়ুনঃ যুদ্ধের মধ্যে হামাস বাহিনীকে হুঁশিয়ারি ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রীর

১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে পারে ট্রাইগ্রিসারাইডস-এর মাত্রা। রক্তচাপের সমস্যা কমাতে পারে। ধমনিতে ক্রমশ চর্বি জমলে রক্তবাহী নালি অনমনীয় হয়ে পরে। এরপর রক্তের অণুচক্রিকা ভেঙে গিয়ে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। নিয়মিত মাছের তেল খেলে ধমনিতে ক্রমশজমতে থাকা চর্বির সমস্যা কমতে থাকে। রক্তকে জমাট বাঁধতেও বাধা দেয়। মস্তিষ্কের কাজকর্ম সঠিকভাবে চালাতে সাহায্য করে মাছের তেল। যার নেপথ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি অ্যাসিড। এর জন্য চোখের স্বাস্থ্যও ভালো হবে। দৃষ্টিশক্তিও উন্নত হবে।

 

তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য মাছের তেল অনেক উপকারী। এজন্য চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন ‘ফিশ অয়েল ক্যাপসুল’। মাছের তেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

 

১. মাছের তেল হৃত্‍পিণ্ডে যথার্থ পুষ্টি জোগায়। যারা নিয়মিত মাছ খান, তাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। মাছের তেলে ভাল কোলেস্টেরল থাকে। মাছের তেল রক্তে ট্রাইগ্রিসারাইডের মাত্রা কমায়। রক্তচাপের সমস্যা কমাতে পারে।

 

২. মাছের তেল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ভরসা রাখতে পারেন এই তেলে।

 

৩. চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত মাছের তেল খাওয়া ভালো।

 

৪. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুণ উপকারী। মাছের তেল শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করে।

 

৫. মাছের তেলে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মাছ খেলে মন ভালো থাকবে।

 

৬. অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তাই এই সময়েও চিকিত্‍সকরা ‘ফিশ অয়েল ক্যাপসুল’ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

 

en.wikipedia.org