মাউই দ্বীপের লাহাইয়ানা শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভস্মীভূত, মৃত বেড়ে ৯৩, পাঁচদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও জ্বলছে হাওয়াই (Hawaii) দ্বীপ। হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপের লাহাইয়ানা শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ২২০০-র বেশি পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৫.৫ মার্কিন ডলার। এছাড়া গত কয়েকদিনে দাবানলের আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩। ঘরছাড়া কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে, এখনও পর্যন্ত জ্বলছে আগুন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হাওয়াইয়ের গভর্নর জস গ্রিন। এটাই এই শতাব্দীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে টানা পাঁচদিন পর অবশেষে লাহাইয়ানা শহরের আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি। আপাতত শহরের বাসিন্দাদের আর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলেও প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট অনুসারে, ১৯১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ও উইসকোনসিনে দাবানল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। সেই দাবানলে ৪৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে মানচিত্র থেকে কার্যত মুছে গিয়েছিল ছোট্ট শহর প্যারাডাইস, মৃত্যু হয়েছিল ৮৬ জনের। এবারের দাবানল সেই ঘটনাকে ছাপিয়ে গেল। এই দাবানলে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় ও কোটি-কোটি ডলার লাগবে বলে মাউই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন – পাকিস্তানের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাক্কর
লাহাইয়ানায় ১২ হাজারের বেশি ঘর, হাওয়াইয়ের প্রাক্তন রাজপরিবারের বাড়ি-সহ হোটেল, রেস্টুরেন্ট ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এমনকি দেড়শো বছরের পুরানো একটি বটগাছ ছিল, যেটি পুজো করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেটিও পুড়ে গিয়েছে। তাই আপাতত শহরের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়েনি লাহাইয়ানার বাসিন্দাদের। শহরের ষাটোর্ধ্ব এক বাসিন্দা তাঁর ভস্মীভূত ঘর দেখিয়ে বলেন, এটা আমার ঘর। সেখানে তাঁর মেয়ে, নাতি এবং দুটি বিড়াল ঘুমোচ্ছিল। পাহাড়ের পিছনে যে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল, তা শহরের অনেকেই টের পাননি। পরে যখন জানতে পারেন, তখন আগুনের লেলিহান শিখা তাঁদের দিকে তেড়ে আসতে থাকে।