ফের বন্দে ভারত চালু হচ্ছে বাংলায়। এবার থেকে হাওড়া থেকে পাটনা লাইনে চালু হতে চলেছে সুপারফাস্ট এই ট্রেন। আগামী সোমবারই হাওড়া থেকে প্রথমবার ছাড়বে হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবারই দিল্লির তরফে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে আজই পূর্ব রেলের সদতর দফতরে খবর পাঠানো হয়েছে এ ব্যাপারে (Howrah-Patna Vande Bharat Express)। আগামী ২৪ তারিখ নয়া এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
আরও পড়ুনঃ সংসদে আজ পেশ হল মহিলা সংরক্ষন বিল, নরেন্দ্র মোদী
এতদিন পর্যন্ত হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি, হাওড়া থেকে পুরী এবং নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি রুটে চালু ছিল এই ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে মে মাসে হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন। তারপর পুজোর আগেই বাংলা আরও দুটি বন্দে ভারত ট্রেন পেতে চলেছে বলে জানা গিয়েছিল। যার একটি চালু হওয়ার কথা ছিল হাওড়া-পাটনা রুটে, অন্যটি হাওড়া-রাঁচি রুটে। তার মধ্যে পাটনাগামী বন্দে ভারতের সূচনার কথা ঘোষণা করা হল ইতিমধ্যেই। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই পাটনার উদ্দেশে রওনা হবে এই ট্রেন। যদিও এখনও পর্যন্ত সফরসূচি প্রকাশ করা হয়নি রেলের তরফে। কবে কবে এবং কখন এই ট্রেন ছাড়বে, তা খুব দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে।
২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে বারাণসী রুটে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন চালু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সেই ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন। পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে সক্ষম বলে দাবি করা হয় রেলের তরফে। তারপর দেশজুড়ে ১৫টি রুটে চালু হয় এই দ্রুতগতির ট্রেন। বর্তমানে থেকে সারা ভারত জুড়ে একাধিক রাজ্যের বুক চিরে ২৫টিরও বেশি রুটে ছুটে চলেছে এই ট্রেন। বাংলায় প্রাথমিকভাবে ৩টি রুটে এই ট্রেন চালু হলেও পুজোর আগেই যে আরও ২টি ট্রেন চালু হতে চলেছে তার ইঙ্গিত ছিলই।
সেই মতোই পুজোর ১ মাস আগেই রাজ্যবাসীকে একটি ট্রেন উপহার দিল রেল। এই রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের টিকিটের দাম ২৫০০ টাকার আশেপাশে, এবং এসি চেয়ার কারের ভাড়া ১৫০০ টাকার আশেপাশে থাকবে বলে জানা গিয়েছিল। যদিও রেলের তরফে এখনও সঠিক ভাড়া জানানো হয়নি। তবে শিগগিরই তা জানিয়ে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারতও চালু হয়ে যাবে দ্রুত। হাওড়া থেকে টাটানগর হয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজধানীতে প্রবেশ করবে সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন। তবে কবে তা চালু হতে চলেছে তা এখনও জানা যায়নি।