স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেল হৃতিক রোশনের ছবির প্রথম ঝলক ‘ফাইটার’, আভাস মিলেছিল আগেই। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে অবশেষে মুক্তি পেল হৃতিক রোশনের পরবর্তী ছবি ‘ফাইটার’-এর প্রথম ঝলক। জুন মাসে প্রকাশ্যে এসেছিল ‘ফাইটার’ হিসাবে হৃতিকের ফার্স্ট লুক। সেই লুকে ‘টম গান: ম্যাভেরিক’-এর টম ক্রুজ়ের সঙ্গে মিল পাওয়া গিয়েছিল হৃতিকের। তা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনাও কম হয়নি। হলিউডের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি থেকে টোকা ছাড়া কি তার কোনও উপায় নেই বলিউড অ্যাকশন ছবির? উঠেছিল এই প্রশ্নও। তার প্রায় দেড় মাস পরে মুক্তি পেল ‘ফাইটার’-এর টিজ়ার। ফার্স্ট লুকের সমালোচনার পরে কি টিজ়ারে কিছু বদল আনলেন ছবির নির্মাতারা?
‘ফাইটার’-এর টিজ়ারে এ বার হৃতিকের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে দীপিকা পাড়ুকোন ও অনিল কপূরকেও।এয়ারফোর্সের পোশাক পরেই রয়েছেন তিন তারকা।আবহে ‘বন্দে মাতরম’-এর মন্ত্রোচ্চারণ।ছবিতে যে হাত খুলে সিজিআইয়ের ব্যবহার করেছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ,তা স্পষ্ট টিজ়ারের কয়েক সেকেন্ড দেখেই।
পরিচালক সিদ্ধার্থের মতে দেশের প্রথম ‘এরিয়াল অ্যাকশন’ ছবি ‘ফাইটার’।ছবিতে একাধিক এরিয়াল স্টান্ট থাকছে বলেও জানিয়েছেন পরিচালক।শূন্যে মারামারি করার দৃশ্যে অভিনয় করার জন্য ছবির শুটিং শুরু হওয়ার বহু দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন হৃতিক।ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী দেশের একাধিক বিমানঘাঁটিতে শুটিং হয়েছে ছবির। অসমের তেজপুর বিমানঘাঁটি থেকে শুরু করে হায়দরাবাদের ডান্ডিগল বায়ুসেনা অ্যাকাডেমিতে শুটিং করেছেন হৃতিক।আগামী বছর ২৫ জানুয়ারি, ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ফাইটার’।
আরও পড়ুন – ‘কানাডা কুমার’ নন, পাকাপাকি ভাবে ভারতীয় হলেন অক্ষয় কুমার ,
ফার্স্ট লুকে স্রেফ ধরা দিয়েছিলেন হৃতিক।সামনে উন্মুক্ত দিগন্ত। এয়ারফোর্সের পোশাকে ফাইটার জেটের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। ছবিতে তাঁর মুখ দেখা যায়নি।উল্টো দিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ‘সিল্যুয়েট’ জাতীয় এই ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেই ‘ফাইটার’-এর মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছিলেন হৃতিক। হৃতিকের ওই লুক মনে করিয়েছিল ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’-এ টম ক্রুজ়ের এয়ারফোর্সের ইউনিফর্ম পরা লুককে।সেই একই ফ্রেম, একই শারীরিক অভিব্যক্তি।শুধু অভিনেতা আলাদা।‘ফাইটার’-এর টিজ়ারেও তার অন্যথা হল না।দর্শকের সমালোচনা থেকে শিক্ষা নেওয়া তো দূরের কথা, তাতে বোধ হয় কান দিতেও রাজি নন ছবির নির্মাতারা।হলিউডের ফ্রাঞ্চাইজ়ি সংস্কৃতি এ দেশে আমদানি করতে গিয়ে কতটা স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারবে বলিউড, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।