ইমন চক্রবর্তী, বাংলা গানের জগতের এখন বেশ একটা পরিচিত মুখ। গানের জন্য পেয়েছেন তিনি জাতীয় পুরস্কারও। কিন্তু একটা সময় এই ইমন চক্রবর্তী আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন। গায়িকা ভুগতেন ডিপ্রেশন নামক মানসিক যন্ত্রনায়। একটা সময় এই ইমন চ ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থেকে জীবন পাল্টাতে শুরু করেছিল গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর। তিনি মাকে হারিয়েছিলেন সেই দিন। মা ছিলেন তাঁর কাছে মুক্ত আকাশের মতো। গোটা সমাজ যে মেয়ের পায়ে বেড়ি পরিয়ে রাখতে চেয়েছিল, সেই মেয়েকে একমুঠো আকাশ দিয়েছিলেন তাঁর মা। তাই মাকে হারানোর পর পায়ের বেড়িগুলো আরও শক্ত হয়েছিল ইমনের।
জীবনে ‘ডিপ্রেশন’ নামক শত্রু জুটতে শুরু করেছিল। গায়িকা লিখতে শুরু করেছিলেন সুইসাইড নোটও।
আরও পড়ুনঃ আবারও পেছালো সালার মুক্তির তারিখ, কবে মুক্তি প্রভাস অভিনীত সালার?
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর। ৩৪ বছরে পা দিলেন ইমন। জন্মদিনে ফিরে দেখা তাঁর জীবনের সেই অন্ধকার সময় এবং উত্তরণকেও। ইমন একবার জানিয়েছিলেন, মা চলে যাওয়ার পর এক নিমেষে বড় হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পাশ থেকে সরে গিয়েছিলেন বন্ধুবান্ধব এবং তত্কালীন প্রেমিকও। আর তারপরই ডিপ্রেশনের কবলে পড়তে শুরু করেন তিনি।
ইমন বলেছেন, “আমার কী হত জানেন। রাতের বেলায় ঘুমতে যেতাম আর খালি মনে হত সকাল যাতে না হয়। আমি কোনওদিনও কারও সঙ্গে এটা শেয়ার করতে পারিনি। আজ পর্যন্ত বাবাকেই বলিনি। আমার একটা ডায়েরি ছিল। সেখানে আমি সুইসাইড নোটস লিখতাম। লিখতাম, এটাই আমার জীবনের শেষ দিন এবং শেষ মুহূর্ত। আমি সকলকে খুব মিস করব।”
এবার আসা যাক উত্তরণে। ইমনের একটা সময় মনে হতে শুরু করল তিনি এ সব কার জন্য করছেন এবং কেন করছেন। বাবা এবং সঙ্গীতের জন্য আবার বেঁচে থাকার সাহস অর্জন করতে শুরু করেন গায়িকা। সাইকোলজিস্টের কাছে গিয়ে কাউন্সেলিং করিয়ে, ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে শুরু করেছিলেন ইমন। এবং জয়ী হয়েছিলেন সেই যুদ্ধে। মজার বিষয় হল, যাঁরা সেই সময় ইমনের জীবন থেকে সরে গিয়েছিলেন পরবর্তীকালে তাঁরা প্রত্যেকে ফিরেও আসতে চেয়েছিলেন কিংবা আসার কথা ভেবেছিলেন। মজার বিষয় হল, যাঁরা সেই সময় ইমনের জীবন থেকে সরে গিয়েছিলেন পরবর্তীকালে তাঁরা প্রত্যেকে ফিরেও আসতে চেয়েছিলেন কিংবা আসার কথা ভেবেছিলেন।