ভারতীয় জোকার পার্টি: সায়নী। দুদিনের মালদহ সফরের শেষ লগ্নে চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সভা শুরুর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে তুলোধোনা করেন তিনি। বিজেপিকে ভারতীয় জোকার পার্টি বলেও সম্বোধন করেন। আর ভারতীয় জোকার পার্টির রাজা নরেন্দ্র মোদির সমালোচনায় সরভ হন তিনি। এদিন তিনি পাকুয়াহাটে সভা করেন। অভিনেত্রী তথা রাজ্য যুব সভানেত্রীকে দেখতে মানুষের ঢল নামে।
বামনগোলা ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি আবাল বৃদ্ধ বনিতারাও হাজির হন। বিজেপি নেতাদের ভোট পাখি বলে কটাক্ষ করেন। যেমন বাঁশ তেমন কঞ্চি বলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করেন। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই বিরোধী দলনেতা একদা তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। স্বার্থপুরণ হতেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। এখন তিনি অমিত সাহা ও নরেন্দ্র মোদির কাছে ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছেন। তিনি বলেন, বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন।
আরও পড়ুন – ধূপগুড়িতে ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে চলছে প্রস্তুতি
সে দলীয় কর্মী হোক আর নেতাই হোক কাউকে তিনি রেয়াত করেননি। বিজেপি এখন ভাড়া করা অভিনেতা নিয়ে বাংলা দখলের পরিকল্পনা করছেন তা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। রাজ্যবাসী উন্নয়নের পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই থাকবেন বলে তিনি দাবি করেন। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদূর রহিম বক্সী, চেয়ারম্যান সমর মুখার্জী, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, মহিলা সভানেত্রী মৃনালিনী মাইতি, আইএনটিটিউসি জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল প্রমুখ। এদিন সায়নী ঘোষের জনসভার সমর্থনে ইংরেজ বাজারে মিছিল করেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা।
মিছিলে পা মেলায় হাজারো যুব। ইংরেজবাজার গ্রামীণ যুব সভাপতি চন্দন ঘোষ এর নেতৃত্বে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা পাকুয়াহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ বিষয়ে ইংরেজবাজার গ্রামীণ যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চন্দন ঘোষ জানান দীর্ঘদিন বাদে রাজ্যসভানেত্রী মালদার মাটিতে পা রেখেছেন। তাকে স্বাগত জানাতে এই মিছিল। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরভ হন যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।