প্রায় ৪০ বছর পরে ভারতে দ্বিতীয়বার আইওসি অধিবেশনের আয়োজন হতে চলেছে। এর আগে ১৯৮৩ সালে নয়াদিল্লিতে IOC-এর ৮৬ তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী ১৪ অক্টোবর, মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে IOC-এর ১৪১তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতের মুম্বইয়ে। যার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ মামলায় আদালতের নির্দেশে ফিরল অপসারিত ইডি কর্তা
IOC -র ১৪১ তম অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাখ এবং নীতা আম্বানি আইওসি-র অন্য সদস্যেরা। এছাড়া, বিশিষ্ট ভারতীয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের প্রতিনিধিদেরও উপস্থিত থাকার কথা। আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আইওসি অধিবেশন। তার আগে সম্প্রতি নিজেদের বাসভবনে সংস্থার প্রেসিডেন্টকে সাদর অভ্যর্থনা জানান অম্বানি দম্পতি। নীতা আম্বানি একমাত্র ভারতীয় মহিলা যিনি IOC সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।
IOC হল অলিম্পিকের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। তাঁদের অধিবেশনে অলিম্পিক চার্টার গ্রহণ বা সংশোধন, আইওসি সদস্য ও পদাধিকারীদের নির্বাচন এবং অলিম্পিকের আয়োজক শহরের নির্বাচন সহ অলিম্পিকের মূল কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে IOC-তে ৯৯ জন ভোটিং এবং ৪৩ জন সম্মানিত সদস্য রয়েছেন। আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর মুম্বইয়ে আয়োজিত IOC-র অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলার সঙ্গে যুক্ত বহু খ্যাতনামা ব্যক্তি যোগ দিতে চলেছেন। প্রায় ১০০টি দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত হতে চলেছে এই অধিবেশন। JWC ভারতের সবচেয়ে বড় কনভেনশন সেন্টার। ২০২২ সালেই তার উদ্বোধন হয়েছিল। নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার (NMACC)-এর গ্র্যান্ড থিয়েটারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। প্রদর্শনী হল (প্যাভিলিয়ন)-এ হবে অধিবেশন। মুম্বইয়ের এই অধিবেশন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও ভারত নিজেকে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজন, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ পরিকাঠামো, প্রতিভা লালন এবং লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের জীবনকে সমৃদ্ধ করার একাধিক সুযোগ উন্মুক্ত হবে।ভবিষ্যতে যুব অলিম্পিক এবং অলিম্পিক গেমস আয়োজন করার ভারতের যে আকাঙ্খা রয়েছে, সে দিক থেকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।