জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আসানসোল আদালত, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন আসানসোল সিজেএম আদালতের বিচারক তরুণকুমার মণ্ডল। কম্বল বিতরণকাণ্ডে অভিযুক্ত জিতেনকে ৬ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন করেছিল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। তবে মঙ্গলবার আবার তাঁকে হাজির করানো হবে আদালতে। ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষ হওয়ার পর সোমবার ওই বিজেপি নেতাকে হাজির করানো হয়েছিল আসানসোল সিজিএম আদালতে। আদালত চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তার আয়োজন।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল রামকৃষ্ণডাঙায় কম্বল বিতরণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। ওই ঘটনায় জিতেন, তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় ৮ জন গ্রেফতার হন প্রাথমিক ভাবে। প্রায় ৬৫ দিন জেলে থাকার পর তাঁরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত। এই আবহে গত ১৫ মার্চ জিতেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১৮ মার্চ তাঁকে দিল্লির যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। ১৯ মার্চ আসানসোল আদালত তাঁকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এর মধ্যেই ২১ মার্চ ওই একই মামলায় আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলর গৌরব গুপ্তা এবং বিজেপি নেতা তেজপ্রতাপ সিংককে রক্ষাকবচ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই আবহে গত ২৩ মার্চ জিতেনের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের ভিত্তিতে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। তবে খারিজ হয়ে যায় সেই আবেদন। অবশ্য গত ২৪ মার্চ জিতেনের স্ত্রী চৈতালি তথা আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রীকে রক্ষাকবচ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার আসানসোল সিজেএম আদালত চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তার আয়োজন। এর আগে জিতেনকে আদালতে হাজির করানোর সময় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। তাঁরা প্রিজন ভ্যানের সামনে বসে পড়েছিলেন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে জন্য বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনা হয়েছে কমব্যাট ফোর্স। ছিল ব্যারিকেডও। সোমবার আদালতে হাজির করানোর আগে জিতেনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে। কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তা নিয়ে সোমবার আসানসোল উত্তর থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় জিতেন বলেন, ‘‘আসানসোলবাসী হিসাবে আসানসোলের কারও অকল্যাণ হোক, এটা আমি মন থেকে চাই না।’’
আরও পড়ুন –সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে এটি ‘ঈশ্বরের উপহার’ বলে ছবি পোস্ট করেছেন লালু-পুত্র তেজস্বী…
সোমবার অন্যান্য আইনজীবীর সঙ্গে নিজেই শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন জিতেন। এজলাসে তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিচারককে বলেন, ‘‘আমাকে পুলিশ হেফাজত দিলে যদি রাজ্যের ভাল হয় তা হলে তাই দেওয়া হোক।’’ পুলিশ আদালতকে অন্ধকারে রেখে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ করেন জিতেন। এর পর সাময়িক ভাবে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। কিছুটা পর জিতেনকে এক দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন তিনি।