বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক! কাকদ্বীপে পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ির পিলারে বেঁধে বধূর ওপর চলল নির্যাতন,

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক! কাকদ্বীপে পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ির পিলারে বেঁধে বধূর ওপর চলল নির্যাতন, পরকীয়া জানাজানি হতেই এক মহিলা ও এক যুবককে বাড়ির পিলারে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নারায়ণপুরে। কেউ কেউ মোবাইলে বন্দি করলেন পেটানোর ভিডিয়ো। কেউ আবার ছবি তুলে রাখলেন। নিগৃহীত বধূ ও যুবককে দেখতে  ভিড়ে জমালেন গ্রামের আট থেকে আশি। আর ভিড়ের মধ্যে থেকে ভেসে আসল কটূক্তিও। তাতে উঠল হাসির রোলও।

 

 

 

 

 

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরেই স্বামীর অবর্তমানে মহিলার ঘরে ঢুকতেন ওই যুবক। তাতে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। বুধবার ভোর রাতে ওই যুবককে ঘরের ভিতর মহিলার সঙ্গে অশালীন অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, তারপরই ওই মহিলা ও যুবককে বাড়ির সামনেই পিলারে বেঁধে মারধর শুরু হয়। খবর যায় থানায়। পরে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

 

 

 

 

নিগৃহীত মহিলার বক্তব্য, “অনেকে মেরেছে আমাকে। ওঁ ঘরে ঢুকেছিল, তাতেই গ্রামের লোক মেরেছে। আমার বাড়ির লোক মারেনি।”

 

 

 

যদিও এই ঘটনায় রীতিমতো বিতর্কও তৈরি হয়েছে। দু’জন সাবালক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সম্পর্কে জড়ালে, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে, প্রকাশ্যে নিগ্রহ, মারধর করার অধিকার কি আদৌ গ্রামবাসীদের রয়েছে? কিছুদিন আগেই মালদহের চাঁচলের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাকে ইস্যু করেছে বিজেপি।

 

 

 

আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিধানসভায় ওয়াক আউট করল বিজেপি, কি বললেন বললেন…

 

 

 

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে একাই থাকেন স্বামী। যুবক ওই মহিলার গ্রামেই থাকেন। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়।

 

(সব খবর , ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook  পেজ এবং Youtube )