পুরদফতরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, কী বলছেন মন্ত্রী ফিরহাদ? পুরনিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরইমধ্যে পুরদফতরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট ঘিরে নয়া মোড়। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে, নিয়ম না মেনে অন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগসংক্রান্ত কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। পুরনিয়োগ নিয়ে সিবিআইকে তদন্তের ভার দেয় হাইকোর্ট (High Court)। অন্যদিকে এই দুর্নীতির অভিযোগকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট তৈরির কাজ। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সেই রিপোর্টেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর।
পুর নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই খোদ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গোটা বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে খতিয়ে দেখা নির্দেশ দেন। দায়িত্ব বর্তায় তাঁরই দফতরের প্রধান সচিব-সহ অন্যান্য কর্তাদের হাতে। মন্ত্রীর কাছে নির্দেশ পাওয়ার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন দফতরের শীর্ষ কর্তারা। সেখানেই দেখা যায়, পুরসভাগুলির তরফে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাপকাঠিকে মান্যতা না দেওয়াতেই কর্মী নিয়োগে আজ এত বড় প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “দেখতে হবে তারা টেন্ডার মেনে প্রসেস করেছে কি না। এরপর থার্ড পার্টি কী করল তার দায়িত্ব এদের নয়। পুরসভা তাদের প্রসেস মেনে নির্দিষ্টভাবে করেছে কি না সেটাই দেখতে হবে।”
আরও পড়ুন – গত ২২ জুন মার্কিন সফর শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
সূত্রের দাবি, দফতরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উঠে এসেছে, পুরসভাগুলির তরফে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নিয়োগের মাপকাঠির মান্যতা দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, যে ধরনের নিয়ম-কানুন মানা উচিত, সেটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি নিয়োগের ক্ষেত্রে। তৃতীয় সংস্থা, যাকে এই নিয়োগ পদ্ধতিতে যুক্ত করার কথাই নয়, তাকে টেন্ডার মারফত ঢোকানো হয়েছে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে। যে কারণে সম্পূর্ণ নিয়োগ পদ্ধতি বর্তমানে আতস কাঁচের তলায় চলে এসেছে। এমনকী দফতরের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে এবং দফতরকে না জানিয়েই নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘যা খুশি তাই’ করা হয়েছে বলেও দফতরের অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে বলে খবর।