নিয়োগ মামলায় চিঠি দিয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তার কথা যেন শোনা হয়। আর এবার সেই আবেদনে অনুমোদন দিল ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের অভিযোগ শুনতে হবে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার নির্দেশ দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে কুন্তল ঘোষকে ফের অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ১৩ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুনঃ এবার নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের নয়া অফিসার নিয়োগ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
ঘটনার সূত্রপাত, সংশোধনাগারে তাঁর ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং তাঁর মুখ থেকে জোর করে অন্যের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এই অভিযোগে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে দুটো চিঠি দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিলহেস্টিংস থানায়, অন্যটি আলিপুরের সিবিআই কোর্টের বিচারককে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সিবিআই এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে আলাদা ভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা আলিপুর সিবিআই আদালতের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। বিচারপতির ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান কুন্তল।
কুন্তল ঘোষের আইনজীবীর অভিযোগ, মামলায় তাঁর মক্কেলকে (কুন্তল ঘোষ)পার্টি না করেই নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ওই মামলার শুনানিতে বুধবার সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, ‘সিবিআই কেন নিম্ন আদালতের নির্দেশ বাতিলের আবেদন করল না? নিম্ন আদালতের বিচারক কিছু ভুল করেছেন কিন্তু ক্রিমিনাল কেসের সিদ্ধান্ত কি রিট কোর্ট নিতে পারে?’ এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘একজন নাগরিক তিনি এখনও অভিযুক্ত, তাঁর অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। তাই তাঁর অভিযোগের অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে। অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত।’
এদিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এরপরই সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘মানুষ যখন পুলিশের সাহায্য পান না তখন আইনের ১৫৬ কলমের ৩ ধারায় নিম্ন আদালতে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত নির্দেশ দেয়। এফআইআর দায়ের করে পুলিশ তদন্ত করবে। এটাই নিয়ম। তাহলে কুন্তল ঘোষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অন্যথা হবে কেন?’