লক্ষ্মী পূজোর প্রাক্কালে সামনে এলো লক্ষ্মীর ভান্ডারে দুর্নীতি

মালদা: লক্ষ্মী পূজোর প্রাক্কালে সামনে এলো লক্ষ্মীর ভান্ডারে দুর্নীতি। লক্ষীর ভান্ডারে নাম মিলে যাচ্ছে লক্ষীদের।কিন্তু টাকা ঢুকছে না একাউন্টে।এই টাকা চলে যাচ্ছে অন্য একাউন্টে।নাম মিললেও মিলছে না অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং আইএফসি কোড। শুধু এক বা দুইজন নয় একই এলাকার অনেক মহিলার এই সমস্যা সামনে এসেছে।সিএসপি তে গিয়ে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট চেক করতেই সামনে আসে এই তথ্য। কিন্তু কি ভাবে এই ভুল হলো প্রশ্ন তুলেছেন উপভোক্তারা। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়েও এবার প্রকাশ্যে বড় দুর্নীতি। ব্লকে যারা এই কাজ করছে তারাই দুর্নীতি করেছে। অভিযোগ উপভোক্তাদের। প্রশাসন এবং শাসকদলকে কাঠগড়ায়় তুলেছে বিজেপি।শুরু হয়েছে তরজা।

আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি তল্লাশি প্রসঙ্গে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অর্জুনা গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন প্রায় শতাধিক মহিলা।মহিলাদের অভিযোগ তারা লক্ষীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করেছিলেন।চালুও হয়েছিল লক্ষীর ভান্ডার।কিন্তু টাকা ঢুকছে না একাউন্টে। তালিকায় নাম রয়েছে উপভোক্তাদের।কিন্তু অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেওয়া রয়েছে অন্য।আর সেই অন্য একাউন্টেই ঢুকে যাচ্ছে টাকা। অর্থাৎ লক্ষীর ভান্ডারের লক্ষ্মীদের নাম এবং ডকুমেন্ট ব্যবহার করে মাসের ৫০০ টাকা জালিয়াতি করছে অন্য কেউ।এর আগেও দেখা গেছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা প্রকৃত উপভোক্তারা পান না।তবে লক্ষীর ভান্ডারের ক্ষেত্রে এই ধরনের অভিযোগ এবার প্রথম সামনে এলো। তবে কারা এই দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে জড়িত।কি ভাবেই বা হচ্ছে এই দুর্নীতি। প্রশাসনের কেউ কি যুক্ত রয়েছে।উঠছে একাধিক প্রশ্ন?

 

এদিকে এই অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের আমলে প্রশাসন বলে আর আলাদা কিছু নেই। সারা রাজ্য দুর্নীতির আঁতুড়ঘড় হয়ে গেছে। তৃণমূলের মদতেই প্রশাসনিক কর্তারা এই দুর্নীতি করছে। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি কোন সমস্যা থাকলে সেটা প্রশাসন খতিয়ে দেখবে। এখানে রাজনীতি বা দুর্নীতির কোন প্রশ্ন নেই।



সাবিনা বিবি নামের লক্ষীর ভান্ডারের এক উপভোক্তা বলেন, আমি চেক করে দেখছি আমার নামে টাকা আসছে। কিন্তু সেই টাকা ঢুকে যাচ্ছে অন্য জনের একাউন্টে। কিন্তু এই ভুলটা কিভাবে সম্ভব। প্রশাসনের যারা কাজ করছে তারা এটা দেখতে পেল না। আমরা চাইছি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক।



আরেক উপভোক্তা সাকিনা খাতুনের অভিযোগ, এতে প্রশাসনের লোক জড়িত আছে। ব্লকে যারা কাজ করে। আট মাস আগে আমার লক্ষীর ভান্ডার হয়েছে। কিন্তু টাকা ঢুকছে অন্যজনের একাউন্টে।



স্থানীয় এক সিএসপির মালিক নিখাতে ইয়াসমিন জানান, আমাদের সিএসপিতে অনেকেই টাকা লেনদেন করতে আছে। এলাকার বহু মহিলা এই অভিযোগ করছে। আগে তো লক্ষীর ভান্ডারের স্ট্যাটাস চেক করা যেত না। এক মাস ধরে চেক করা যাচ্ছে। তারপরেই সামনে এসেছে এই তথ্য।



বিজেপি নেতা কিষান কেডিয়ার অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে সারা রাজ্যেই দুর্নীতি। শাসকদলের মধ্যতে প্রশাসনিক কর্তারাও এইসব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। না তো এটা কিভাবে সম্ভব। একজনের টাকা অন্যজনের একাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে।



তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তার সাফাই, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প রাজ্যের প্রত্যেক ঘরে ঘরে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মহিলারা মাস গেলে এই প্রকল্প থেকে যে টাকা পাচ্ছে তাতে তাদের অনেক কাজ দেয়। এমনকি বিজেপি নেতাদের ঘরেও লক্ষী ভান্ডার এর টাকা ঢোকে। যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানান। ঠিকই সেটা সমাধান হবে।

https://g.co/kgs/78HzZ7