জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট

জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট, কলেজিয়াম পদ্ধতির সাহায্যে বিচারপতি নিয়োগের বর্তমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগ ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রের টানাপড়েনের আবহে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সম্মত হল বম্বে হাই কোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে মন্তব্যের অভিযোগে ধনখড় এবং রিজিজুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি হতে পারে।

 

 

কলেজিয়াম ব্যবস্থা এব‌ং বিচারালয়ে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার এবং বিচারবিভাগের টানাপড়েনের আবহে গত ডিসেম্বরে দিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় ধনখড় বলেছিলেন ‘‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে দেশের শীর্ষ আদালত ‘অসাংবিধানিক’ বলছে, এমন নজির বিশ্বে আর নেই!’’

 

 

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে দীর্ঘ দুই দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে দিয়েছিল। বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (এনজেএসি) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই উদ্দেশ‌্যে সংসদ এবং ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় বিলও পাশ করানো হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এনজেএসি গড়ার ব্যবস্থাকে বাতিল ঘোষণা করে কলেজিয়াম প্রথাই বহাল রাখার রায় দেয়। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ওই মন্তব্য করেছিলেন ধনখড়।

 

 

আরও পড়ুন – দেশ ছেড়ে পালানোর আগে গ্রেফতার করা উচিত’, আদানির নাম না করে গতকাল…

 

অন্য দিকে, গত কয়েক মাস ধরে রিজিজু ধারাবাহিক ভাবে কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন। এমনকি স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রকাশ্যে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, কলেজিয়ামের মধ্যে যে নিয়োগ হচ্ছে, তাতে সমাজের সর্ব স্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। তা ছাড়া কেন্দ্রের পক্ষের যুক্তি, দেশের শীর্ষ আদালত এবং উচ্চ আদালতগুলিতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারেরই প্রধান ভূমিকা নেওয়া উচিত। অন্য দিকে, বিচার বিভাগের বড় অংশের অভিযোগ, প্রস্তাব পাঠানো হলেও নানা কারণে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে মোদী সরকার। ফলে আদালতে তৈরি হচ্ছে শূন্যপদ, দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচারপ্রক্রিয়া।

 

(সব খবর , ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top