৪৪ বছর পরেও আবেগে ভাসলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

৪৪ বছর পরেও আবেগে ভাসলেন রাজ্যপাল, জীবনের প্রথম কর্মস্থল জলপাইগুড়, ( Jalpaiguri) স্টেট ব্যাঙ্কের মেইন ব্রাঞ্চ। শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহরে সেই কর্মস্থলে (workplace) এসে নস্টালজিয়ায় (nostalgia) ভেসে গেলেন রাজ্যপাল ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

১৯৭৭ সালে ব্যাঙ্কের প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে স্টেট ব্যাঙ্কের জলপাইগুড়ি শাখায় যোগ দিয়েছিলেন। প্রায় মাস ছয়েক এখানে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তিনি থাকতেন জলপাইগুড়ি থানা মোড় সংলগ্ন একটি হোটেলে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানালেন, চাকরির শুরুর দিনগুলিতে এই শাখাতেই তাঁকে হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিলেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অশোককুমার রায়চৌধুরী। আজীবন তিনিই তাঁর মেন্টর হয়ে থাকবেন।

 

 

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে এসেই অশোকবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার স্টেট ব্যাঙ্কের ওই শাখায় রাজ্যপালকে সংবর্ধনা জানানো হয়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমার কর্মজীবনে মেন্টর ছিলেন এই ব্যাঙ্কের কর্মী অশোককুমার রায় চৌধুরী। তিনি আমাকে দুটো কথা শিখিয়েছিলেন। বলেছিলেন তুমি যা চাইছো তা না পেতেও পারো। কিন্তু যা পাচ্ছো সেটা নিয়েই তুমি সন্তুষ্ট থাকো। আর যে কাজ তুমি করবে সেটা অত্যন্ত মনযোগের সঙ্গে করবে। এই দুটি কথা আমি আজও আমার জীবনে পাথেয় করে চলেছি। এখন আমি এই রাজ্যের দায়িত্বে আছি। এই রাজ্যের জনগণের প্রতি আমার যা দায়িত্ব তা পালন করব।”

 

 

অন্যদিকে অশোককুমার রায় চৌধুরী বলেন, “উনি এতবড় মাপের মানুষ। আমার বাড়িতে আসবেন তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। ঠিক ৪৪ বছর আগে উনি যেমন ছিলেন আজও তেমন রয়ে গেছেন।” মেন্টর প্রসঙ্গ উঠতেই মুচকি হেসে অশোককুমার বাবু বলেন, “এটা ওঁর মহানুভবতা। আমি আর কী বলি বলুন।”

 

 

আরও পড়ুন – জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট

এদিন রাজ্যপালের সাথে দেখা করতে ব্যাঙ্কে ভিড় উপচে পড়ে। তাঁর পুরোনো কর্মস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি অসম মোড়ে মিশনারি অফ চ্যারিটিজেও যান তিনি। সেখানে আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের কাজকর্ম ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ৪৪ বছর পরেও আবেগে ভাসলেন রাজ্যপাল, জীবনের প্রথম কর্মস্থল জলপাইগুড়, (Jalpaiguri) স্টেট ব্যাঙ্কের মেইন ব্রাঞ্চ।

(সব খবর , ঠিক খবর,প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )