বিশ্বভারতীতে বেনজির সংঘাত! প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী

বিরোধিতা

বিশ্বভারতীতে বেনজির সংঘাত! প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী,সন্ধ্যাতেই বিশ্বভারতীর তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়, বিশ্বভারতীর ওপর মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলেও চলবে। কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে চলবে। এই বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পরও চরমে ওঠে সংঘাত।

 

 

 

বিশ্বভারতীতে বেনজির সংঘাত। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) পাশে দাঁড়িয়ে তোপের পর এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির তোড়জোড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চরমে উঠেছে বিশ্বভারতী-রাজ্য সংঘাত। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি করবেন। বুধবার বোলপুরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আদালতের রায় ওরা মানেনি। ওদের কথা আগে শুনব, তারপর আমাদেরটা জানাব। আমরা অল রেডি প্ল্যান করে নিয়েছি, চিন্তা করার কারণ নেই। রবীন্দ্রনাথের শেষ বংশধর সুপ্রিয় ঠাকুর আমার কাছে দুঃখ করছিলেন, তাঁর বাড়ির সামনেও পাঁচিল তুলে দিয়েছেন। বিশ্বভারতীকে গৈরিকীকরণ করতে চান ওঁরা।” বোলপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে অর্মত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আসে বিশ্বভারতীর একটি বিবৃতি। তাতে মমতাকে তুলোধনা করে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন।” আরও লেখা হয়, “স্তাবকরাই শেষ কথা।” চাঁচাছোলা সেই বিবৃততে সই ছিল পিআরও-র। গোটা বিষয়টি নিয়ে চরম শোরগোল বাংলার রাজনীতিতে। সরব কুণালও। পাল্টা শাসককে দুষেই সরব বিরোধীরা।

 

 

 

বুধবার বোলপুরে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বভারতীর ভিসি-কে নাম না করে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগের দিনই বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকারা কাঁদছেন। শান্তিনিকেতনের কী অবস্থা। কাউকে সাসপেন্ড করেছে, কারোর চাকরি দিয়েছে। আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলার জন্য ওদের সঙ্গে কথা বলিনি। যারা পড়তে চান, তাদের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ক্ষমতা আমি রাখি।” সংঘাতের সূচনা সেখান থেকেই হয়।

 

আরও পড়ুন – বিশ্ব বাজারে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের তিনটি নতুন ফোন আনল Samsung

 

সন্ধ্যাতেই বিশ্বভারতীর তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়, বিশ্বভারতীর ওপর মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলেও চলবে। কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে চলবে। এই বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পরও চরমে ওঠে সংঘাত। তৃণমূলের তরফে এর তীব্র নিন্দা করা হয়।

 

(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলে করুন facebook পেজ এবং youtue )