দুর্গা পুজো তেও মিলল না মানিক ভট্টাচার্যের জামিন। সুপ্রিম কোর্টেও দিল না জামিন। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় হাই কোর্টই জামিনের বিবেচনা করবে বলে জানাল শীর্ষ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মানিকের জামিন নিয়ে এখনই হস্তক্ষেপ করা হবে না। আগে হাই কোর্টই সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: আশঙ্কায় সত্যি, চোটের কারণে রবিবারের ম্যাচে খেলতে পারবেন না হার্দিক
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক। হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর সেখানে শুনানি হওয়ার কথা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মানিকের আইনজীবী মুকুল রোহতগীর সওয়াল, তাঁর মক্কেলের হৃদ্যন্ত্রের বাইপাস সার্জারি করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। চার্জশিট পেশ হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন। হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করা হলেও শুনানি হয়নি। ওই আইনজীবীর আবেদন, হাই কোর্ট শুনানি চার বার পিছিয়ে দিয়েছে। তাই জামিন নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
শুক্রবার দুই বিচারপতি বেঞ্চ জানায়, এই অবস্থায় আদালত কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারি না। তবে হাই কোর্টকে অনুরোধ করছি পরবর্তী শুনানিতে বিষয়টি বিবেচনা করা জন্য। ষষ্ঠীর দিন শীর্ষ আদালত মানিকের আবেদন মঞ্জুর করল না। ফলে পুজো জেলেই কাটবে তৃণমূল বিধায়কের। গত ১২ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে মানিকের জামিনের মামলাটি প্রথম শুনানির জন্য ওঠে। তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি তিন সপ্তাহ সময় চায়। হাই কোর্ট তা মঞ্জুর করে। তার পর ৯ অক্টোবর মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে ইডির আইনজীবী জানান, তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন অফিসারের সিদ্ধান্তের জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। পরে গত মঙ্গলবারও মানিকের আবেদনের শুনানি হয়নি। আগামী ১৭ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি তিন সপ্তাহ সময় চায়। হাই কোর্ট তা মঞ্জুর করে। তার পর ৯ অক্টোবর মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে ইডির আইনজীবী জানান, তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন অফিসারের সিদ্ধান্তের জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। পরে গত মঙ্গলবারও মানিকের আবেদনের শুনানি হয়নি। আগামী ১৭ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।