গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণিশ কোঠারি

গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণিশ কোঠারি

গরু পাচার মামলায়  জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণিশ কোঠারির। কেষ্টর হিসাব রক্ষককে জামিন দিল দিল্লি হাই কোর্ট। গত ১৪ মার্চ দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মণীশ।

আরও পড়ুনঃ গুরুতর অসুস্থ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া

গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৪ মার্চ মণীশ সহ ১২ জনকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। সদর দফতরে দিনভর জেরার পর মণীশকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইডি হেফাজত শেষে তিহাড় জেলেই ঠাঁই হয়েছিল কেষ্ট মণ্ডলের হিসেবরক্ষকের।

 

আগেও জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মণীশ। কিন্তু প্রতিবারই সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার ফের দিল্লি হাইকোর্টে মণীশের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে বিচারপতি মণীশের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শর্তসাপেক্ষে অনুব্রতর হিসেবরক্ষককে জামিন দিলেন। তবে পুজোর আগে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের জামিন মিলবে না। আগের দিনই তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ফলে পুজোতে তিহাড় জেলেই থাকতে হবে তাঁদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মণীশের জামিন পরবর্তীতে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের জামিনের মামলায় বড় ভূমিকা নিতে পারে। তাঁদের পক্ষের আইনজীবীরা, এই গ্রাউন্ডে সওয়াল করতে পারেন।

 

অন্যদিকে, এবছরের পুজোতেও বাড়ি ফেরা হবে না অনুব্রতর। পুজো কাটাতে হবে তিহার জেলেই। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রত মন্ডলের জামিন সংক্রান্ত মামলার আবেদন মঞ্জুর করেন নি বিচারপতি। প্রায় এক বছর ধরে জেল বন্দি বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। একাধিক বার জামিনের আবেদন জানানো হলেও তা মঞ্জুর হয়নি। বৃহস্পতিবার জানা গেল অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। অর্থাত্‍, এবছরের পুজো জেলেই কাটাতে হবে তাঁকে। গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ আগস্ট বীরভূমে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত।

 

পাশাপাশি, অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে ৪ মাস। সুকন্যার তরফ থেকেও একাধিকবার জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টে একেবারে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। এই মুহূর্তে তিহাড়েই বন্দী বাবা-মেয়ে। টানা জিজ্ঞাসবাদ, তল্লাশি এবং তদন্তের পর ঠিক তার কয়েকমাস পরে, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে।