দিঘা থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, আহত ১২

দিঘা থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, আহত ১২

দিঘা থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, আহত ১২। দিঘা থেকে ফেরার পথে টায়ার পাংচার হয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গেল দিঘা-কলকাতা এসি বাস (Bus Accident)। আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন বাস যাত্রী। গুরুতর আহত ২ জনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দিঘা-কাঁথি জাতীয় সড়কে। গতকাল রাতে দিঘা থেকে কলকাতা আসার পথে টায়ার পাংচার হয়ে জাতীয় সড়কের পাশে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় বাসটি। দুর্ঘটনার জেরে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রামনগর থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকা যানজটমুক্ত করে।

আরওপড়ুনঃ গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণিশ কোঠারি

চলতি মাসের শুরুতেই একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যার রেশ এখনও কাটেনি। সম্প্রতি দীঘা থেকে একটি বেসরকারি বাস যাত্রীদের নিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিক আপ ভ্যান সজোরে বাসটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনার খবর পেতেই স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি প্রচণ্ড গতিতে থাকা পিক আপ ভ্যানটির চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে যাওয়া বেসরকারি বাসে ধাক্কা মারে ওই পিক আপ ভ্যান। আর এরপরেই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। যদিও এখানেই শেষ নয়, উদাহরণ রয়েছে আরও ভুরিভুরি।

 

প্রসঙ্গত, সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে উদ্যোগের শেষ নেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। তারপরেও বারবার দুর্ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসছে। সদ্য সৌরনীলকে হারিয়েছে শহর কলকাতা। এখনও আকাশে বাতাসে মা ও ছেলের মধ্য়ে কথোপকথন ভাসছে। জল শুকনো চোখে মা মনে করছে দুর্ঘটনার আগে তার ছোট্ট ছেলেটা কী বলছিল ? ইতিমধ্য়েই সেই সাক্ষাত্‍কার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সৌরনীলের এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই এক সমুদ্র প্রশ্ন তুলে ধরেছে। আর সৌরনীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শহরে মৌন মোমবাতি মিছিল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari) ।

 

মূলত সম্প্রতি বেপরোয়া লরিতে পিষে সাত বছরের ফুটফুটে শিশু সৌরনীলের মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ শহর। এদিকে ওই দুর্ঘটনা যে মাসে হয়েছিল, সেই মাসের ২৫ তারিখই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু,তার আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের রোষ আছড়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও।