মধ্যপ্রদেশের সভা থেকে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ মোদীর

মধ্যপ্রদেশের সভা থেকে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ মোদীর

বৃহস্পতিবার মধ্য প্রদেশের সাতনায়, বিজেপির এক জনসভা থেকে দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস সারা দেশে সরকারি প্রকল্পগুলির কোটি কোটি ভুয়ো সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করেছিল। সেই ভুয়ো নামগুলি ব্যবহার করেই দুর্নীতি চলত। তাঁর সরকার এসে সেই দুর্নীতির দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। আর সেই কারণেই কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকারকে আক্রমণ করছে কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী দলগুলি, অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

এদিন তিনি জানান, মধ্য প্রদেশের মানুষের হাতে ‘ত্রিশক্তি’র ক্ষমতা রয়েছে। কী এই ত্রিশক্তি? প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মধ্য প্রদেশের বাসিন্দাদের একেকটি ভোট, রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আনতে পারে বিজেপি সরকারকে। সেই সঙ্গে ওই ভোট কেন্দ্রে মোদী সরকারের হাতও শক্ত করবে। আর, দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেসকেও ক্ষমতা থেকে দূরে রাখবে। কাজেই এক ভোটে এই তিনটি কাজ করা যাবে। মোদী বলেন, “এই তিন আশ্চর্যজনক কাজ ত্রিশক্তির মতো।”

আরও পড়ুনঃ সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এর ইলেকট্রিক কমপ্লেক্সে ফ্লিপকার্ট গোডাউনে আগুন লাগে

তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদী সরকার গঠনের পর, গোটা দেশে ১০ কোটি ভুয়ো নাম সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে তাঁর সরকার। এই ভুয়ো সুবিধাভোগীদের নামে যে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আসত, তা কংগ্রেস নেতা-কর্মী এবং মধ্যসত্ত্বভোগীদের পকেটে যেত বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস আমলে সরকারি প্রকল্পের টাকা কোথায় যেত, তার কোনও হিসেব ছিল না। কিন্তু, তাঁর আমলে গত ১০ বছরে ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। একটি টাকাও এদিক-ওদিক হয়নি।

 

তিনি বলেন, “কংগ্রেস সরকারের সময়, কেউ জানত না কোথায় টাকা যাচ্ছে। ২জি কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, কমনওয়েল্থ কেলেঙ্কারি, হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতে লক্ষ কোটি টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। মোদী এই সকল কেলেঙ্কারি বন্ধ করে দিয়েছে। কংগ্রসের আমলে মধ্যসত্ত্বভোগীরা মজায় দিন কাটাতো। কিন্তু, মোদী তাদের দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। আর সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া শুরু করেছে। কংগ্রেসের দুর্ভাগ্য ২০১৪ সালে একজন চৌকিদারকে নির্বাচিত করেছিলেন ভারতের মানুষ। ২০১৪ সাল থেকে ভুয়ো সুবিধাভোগীদের বাদ দেওয়ায় ২.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে সরকার।”

 

তিনি জানান, ২০১৪ সালের আগে কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার ছিল, আর রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। সেই সময় বিজেপি সরকার রাজ্যের উন্নয়নে যা যা পদক্ষেপ করতে যেত, প্রতি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বাধার মুখে পড়তে হত। ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকে মধ্য প্রদেশ বদলে গিয়েছে। তিনি বলেন, “মধ্য প্রদেশের উন্নয়নকে কংগ্রেস অন্ধকূপে ঠেলে দিয়েছিল। বিজেপি সরকার সেখান থেকে উন্নয়নকে বের করে এনেছে। গরিব মানুষের ঘর তৈরির স্বপ্ন ভেঙে দিয়ছিল দুর্নীতিপরায়ণ কংগ্রেস। এখন তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার পাচ্ছে।”

 

অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান, ইদানিং তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, দেখছেন রাম মবন্দির নির্মাণ নিয়ে আলোচনা চলছে। গোটা দেশে খুশির স্রোত বইছে। নয়া সংসদ ভবন তৈরির পাশাপাশি দেশে তাঁরা ৩০,০০০ পঞ্চায়েত ভবনও তৈরি করেছেন বলে জানান মোদী। তিনি বলেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকায় মধ্য প্রদেশেও গরিবদের জন্য লক্ষ লক্ষ ঘর তৈরি করা গিয়েছে। সাতনাতেই ১.৩২ লক্ষ ঘর তৈরি করা হয়েছে।”

en.wikipedia.org