নারদ কান্ডে ফের সক্রিয় সিবিয়াই। সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলকে সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব। সিবিআইয়ের একটি চিঠি ঘিরে নতুন করে জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে।
নারদকাণ্ডের স্ট্রিং অপারেশন যিনি করেছিলেন, সেই সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব করেছে সিবিআই (CBI summons Mathew Samuel)। আগামী সোমবার সকাল ১০.৩০ টায় কলকাতার নিজাম প্যালেসে ম্যাথুকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নারদ কাণ্ডের তদন্তের গতি নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুনঃ ঝালদা অশান্তি যেন কিছুতেই মিটছে না, বোর্ড মিটিংয়ে গড় হাজির ৫ তৃণমূল কাউন্সিল
কেন্দ্রীয় তদন্তকাহারী সংস্থা সূত্রের খবর, নারদ কাণ্ডে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অর্থর উত্স কী, এই সংক্রান্ত বিষয়েই ম্যাথুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারী। সেকারণেই এই তলব।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, ম্যাথু তাঁদের জানিয়েছিলেন তহেলকা ইন্ডিয়ার টাকায় নারদ স্ট্রিং অপারেশন করা হয়। কিন্তু তহেলকার তরফে সিবিআইয়ের কাছে দাবি করা হয়, ম্যাথুকে কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবে নারদ স্ট্রিং অপারেশনের বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এসেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
বস্তুত, এবিষয়ে ম্যাথুকে আগেও জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। সে সময় ম্যাথু তহেলকার দাবি সঠিক নয় বলেই তাঁদের জানিয়েছিলেন। এবিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে তহেলকার তত্কালীন ডিরেক্টর তথা সাংসদ কেডি সিংকেও সিবিআই তলব করতে পারে বলে খবর।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের মুখে নারদ স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিও সামনে আনেন সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল। ভোটের মুখে যা রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।
তবে স্যামুয়েলের প্রকাশিত স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিওতে রাজ্যের একাধিক নেতা, মন্ত্রীকে ঘুষ নিতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। মুকুল রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় থেকে তত্কালীন তৃণমূল নেতাস বর্তমানে বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিকজনের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
অভিযুক্তদের অনেকেই সেসময় নারদ তদন্তের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা কররা হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। ম্যাথুকে সিবিআইয়ের তলবের জেরে প্রায় সাত বছর পর পুজোর মুখে ফের নারদ তদন্ত গতি পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
অপর আর একটি অংশের মতে, ৬ মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। সেকারণেই হয়তো আট বছর পর ফের ধুলো ঝেড়ে সামনে আনা হচ্ছে নারদ কাণ্ডের ফাইল!