ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে নুসরত প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ইডি দপ্তর থেকে বেরলেন

0
3
ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে নুসরতকে (Nusrat Jahan)  প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির (ED)। এদিন ৬ ঘন্টা  পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলন নুসরত জাহান। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার যা বলার বলে দিয়েছি। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।’ পাশাপাশি এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় দেখা যায় তাঁর হাতে ফাইল রয়েছে। বেরোনোর সময় অবশ্য সেই ফাইল দেখা যায়নি।

 

ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে এদিন তলব করে ইডি। নির্ধারিত সময়ের ১৭ মিনিট আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন নুসরত জাহান। ২০১৪-১৫: রাজারহাটে ফ্ল্যাটের জন্যে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। ৪২৯ জনের থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার করে টাকা নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারণার টাকাতেই নুসরতের বিরুদ্ধে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ। সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে সেই সময় ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। যে সংস্থার ডিরেক্টর, সেখান থেকেই ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার দাবি নুসরত জাহানের।

আরও পড়ুনঃ চার ঘন্টা পার, এখনও ইডি দপ্তরে অভিনেত্রী নুসরত জাহান

সূত্রের খবর, এদিন দুদফায় বসিরাহাটের তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর পাওয়া যায়, প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদের পরে ফের বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে প্রশ্ন করেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, নুসরতকে প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট হননি গোয়েন্দারা। তাই দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদফায় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব মেটার পর এদিন বিকেল ৫টার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোন তিনি।

 

উল্লেখ্য, নুসরত একটি সংস্থায় থাকাকালীন একাধিক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বেশ কয়েক জন অভিযোগকারীকে নিয়ে ইডির দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারীরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশ এবং ইডির গোয়েন্দারা। বস্তুত, এর আগেও তৃণমূল সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই ঘটনার পর পরই কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নুসরত জানান, অভিযোগ যখন করা হয়েছে, তার অনেক আগেই তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জানান যে, কয়েক কোটি টাকা তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের টাকা তিনি কড়ায়-গণ্ডায় শোধ করে দিয়েছেন

en.wikipedia.org