ফের নারদ মামলা নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ছয় বছর পর এই মামলার স্টিং অপারেশন করা সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব করেছে সিবিআই। স্টিং অপারেশনের ফুটেজ প্রকাশ হওয়া সাত বছর পর ফের ডাক পড়েছে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। কলকাতার সিবিআই অফিসে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আগেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তবে এবার একের পর এক শর্ত দিচ্ছেন ম্যাথু। নোটিস পওয়ার পর প্রথমে তিনি দাবি করেছিলেন, বিমানের টিকিট খরচ দিতে হবে তাঁকে। কলকাতায় থাকার খরচও চেয়েছিলেন সিবিআই-এর কাছে। আর এবার আরও একটি শর্ত। তাঁর বাসস্থানের কাছাকাছি কোনও সিবিআই দফতরে যেতে পারবেন তিনি। কলকাতায় ট্রেনে আসতে ও যেতে তাঁর মোট সময় লাগার কথা ৬ দিন। ওই সময় তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই দাবি করেছেন নারদ কর্তা। নারদ মামলায় ম্যাথুকে আবার কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
আরও পড়ুনঃ আজ হাইকোর্টে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলার শুনানি
আগামী সোমবার ম্যাথু স্যামুয়েলকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। নতুন করে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া চিঠিতে ম্যাথু জানিয়েছেন, ৬ দিন ট্রেনে যাতায়াত করার মতো শারীরিক অবস্থা তাঁর নেই। তাঁকে নিয়ম মেনে দিনে দু বার ইনসুলিন ও অন্যান্য ওষুধ নিতে হয়। সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্টও তিনি জমা করেছেন চিঠির সঙ্গে। এছাড়া এত দূর যাতায়াতেও তাঁর স্বাস্থ্য প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাই তাঁর দাবি, কাছাকাছি কোনও অফিসে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা করা হয়।
আগেই ম্যাথু স্যামুয়েল সিবিআই-এর কাছে খরচ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তেহেলকা-র স্টিং অপারেশন সংক্রান্ত মামলার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই সময় বারবার সিবিআই দফতরে ও আদালতে যেতে হয়ছিল তাঁকে। সেই সময়ে সিবিআই অফিসাররা টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সব টাকা এখনও পাননি বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন ম্যাথু।
এদিকে, নারদ মামলায় ম্যাথুকে আবার কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। কারণ এই মামলার সঙ্গে জড়িয়েছিল হেভিওয়েট রাজনীতিকদের নাম। তাঁদের মধ্যে অনেকের রাজনৈতিক পরিচয়ও বদলে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এতদিন পর কেন এই তৎপরতা, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।