ব্যাঙ্ককর্মীদের ফ্ল্যাট প্রতারণায় নুসরত জাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আর এবার সেই ব্যাঙ্ককর্মীদের ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার থেকে ভাতা পেতেন টলিউডের অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরত জাহান। তাঁর সেই নিয়োগপত্র ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। সেই নিয়োগপত্রেই উল্লেখ রয়েছে নুসরাতের ভাতার কথা। উল্লেখ্য, সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থায় ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন রূপলেখা মিত্র। রূপলেখা ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন। সংস্থার বাকি ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল রাকেশ সিং-এর হাতে।
আরও পড়ুনঃ আধার নয়, এবার থেকে যেখনো কাজে বাধ্যতামূলক জন্ম শংস্থাপত্র
জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে নিউটাউনে ব্যাঙ্ককর্মীদের জন্য কেনা জমি দেড় কোটি টাকায় বন্ধক দেয় রাকেশ সিং। সাউথ নর্থ প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার কাছে ওই জমি বন্ধক রাখা হয়েছিল। চুক্তি হয়, এক বছরের মধ্যে আড়াই কোটি টাকা ফেরত দিয়ে ওই বন্ধক রাখা জমি ছাড়ানো হবে। জানা যাচ্ছে, সাউথ নর্থ প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদম চাঁদ ভুটোরিয়া। এই পদম চাঁদ চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত গোদাবরী কমোডিটিস নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। ফেরত দিয়ে ওই বন্ধক রাখা জমি ছাড়ানো হবে। জানা যাচ্ছে, সাউথ নর্থ প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদম চাঁদ ভুটোরিয়া। এই পদম চাঁদ চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত গোদাবরী কমোডিটিস নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।
সেই গোদাবরী কমোডিটিস সংস্থার আবার এক কর্মী মৃন্ময় মালাকার। এদিকে আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা অনন্ত টেক্স ফ্যাব সংস্থার এক ডামি ডিরেক্টরও ছিলেন মৃন্ময়। এর আগে ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, তিনি গোদাবরী কমোডিটিস-এর কর্মী এবং সেখানকার উর্ধ্বতনদের নির্দেশে অর্পিতার সংস্থার ডিরেক্টর হয়েছিলেন তিনি। তাহলে কি আলাদা আলাদা দুর্নীতির অভিযোগের ছড়ানো জালের প্রান্তেও কোথাও কি নতুন যোগসূত্র উঠে আসছে? উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। ফ্যাব সংস্থার এক ডামি ডিরেক্টরও ছিলেন মৃন্ময়। এর আগে ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, তিনি গোদাবরী কমোডিটিস-এর কর্মী এবং সেখানকার উর্ধ্বতনদের নির্দেশে অর্পিতার সংস্থার ডিরেক্টর হয়েছিলেন তিনি। তাহলে কি আলাদা আলাদা দুর্নীতির অভিযোগের ছড়ানো জালের প্রান্তেও কোথাও কি নতুন যোগসূত্র উঠে আসছে? উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।