করোনার থেকেও মৃত্যু হার বেশি নিপা ভাইরাসে, সতর্কবার্তা আইসিএমআরের তরফে

করোনার থেকেও মৃত্যু হার বেশি নিপা ভাইরাসে, সতর্কবার্তা আইসিএমআরের তরফে

বছর খানেক হয়েছে করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছে পুরো বিশ্ব। তবে এখনও মানুষ ভোলেনি করোনার সেই ভয়াবহতাকে। আর এবার নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করছে নিপা ভাইরাস। করোনাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে নিপা ভাইরাস! আর সবথেকে আশঙ্কার বিষয় হল, মৃত্যুর হার। চিকিৎসকদের দাবি, এই নিপা ভাইরাসে নাকি করোনার থেকেও মৃত্যু হার বেশি। আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব বাহল সতর্ক করছেন, এই রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার করোনার থেকেও বেশি বলে। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে নিপা ভাইরাসের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ আর কোভিডের ক্ষেত্রে সেই হার ২-৩ শতাংশ। কেরলে ৬ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক তথা কেন্দ্রীয় সরকার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিপা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আরও অন্তত ২০টি ডোজ আনা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। এর আগে ২০১৮ সালে ওই অ্যান্টবডি আনা হয়েছিল। তার মধ্যে বর্তমানে যতটুকু আছে, তাতে ১০ জন রোগীর চিকিৎসা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

 

আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একেবারে শুরুর দিকেই রোগীকে এই অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তবেই ফল পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত ভারতে কাউকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজীব বাহল তথ্য তুলে ধরে বলেন, দেশের বাইরে ১৪ জন নিপা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। তবে এই চিকিৎসা যে পুরোপুরি কার্যকর হবে, তা এখনও প্রমাণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এবার কেরলে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত কেরল সরকার ও রোগীর পরিজনের ওপরেই ছেড়ে দিচ্ছে আইসিএমআর।

 

এদিকে, কেরলে নিপা আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও কোথাও স্কুল ছুটি দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। এই ভাইরাস রোগীর থেকে অন্য কারও শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে সহজেই। তাই গোটা কেরলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

en.wikipedia.org