ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের পাশে গৌতম আদানি

ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের পাশে গৌতম আদানি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের পাশে গৌতম আদানি ,গত শুক্রবার (২ জুন), ওড়িশার বালেশ্বরে তিনটি ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ১০০০-এরও বেশি। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, গত কয়েক দশকের মধ্যে এটাই দেশের সবথেকে মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা। এই মর্মান্তিক বিপর্যয়ে বহু শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে। অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। এই ধরনের শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। রবিবার (৪ জুন) ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানিয়ে, আদানি ঘোষণা করেছেন, ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়া শিশুদের বিনামূল্যে স্কুল শিক্ষার ব্যবস্থা করবে তাঁর সংস্থা।

 

 

 

 

 

 

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রেল মন্ত্রকও। শুক্রবার দুর্ঘটনার পরপরই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, নিহতদের পরিবারবর্গকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আর গুরুতর আহতরা পাবেন ২ লক্ষ টাকা করে। অল্পবিস্তর আঘাত যাদের লেগেছে, তাঁরাও আর্থিক সহায়তা পাবেন। তাঁদের দেওয়া হবে ৫০,০০০ টাকা করে। এর পাশাপাশি বাংলা, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশার মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারও এই ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা ঘোষণা করেছে। এলআইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হতাহতদের বিমার টাকার দাবিগুলির যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়, তার জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি সহজ করা হয়েছে।

 

 

 

এই পরিস্থিতিতে রেল দুর্ঘটনায় বাবা-মাকে হারানো শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানি। বন্দর থেকে শক্তি, এয়ারপোর্ট, ডাটা সেন্টারের মতো বিবিধ ক্ষেত্রে ছড়িয়ে রয়েছে ভারতের অন্যতম সেরা শিল্প গোষ্ঠীর ব্যবসা। এবার মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলেন গৌতম আদানি।

 

 

 

আরও পড়ুন –  ওড়িশা থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিনামূল্যে বাস পরিষেবা,

 

 

 

হিন্দি ভাষায় করা এত টুইটে আদানি বলেছেন, “ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমরা সকলেই অত্যন্ত ব্যথিত। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই দুর্ঘটনায় তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে যে অসহায় শিশুরা তাদের স্কুল শিক্ষার ভার নেবে আদানি গোষ্ঠী। এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেওয়া এবং এই শিশুদের ভাল ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করা আমাদের সকলের যৌথ দায়িত্ব।”

RECOMMENDED FOR YOU.....