আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জন্মদিন। ৫৯ বছরে পা দিলেন শাহ। জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাহকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক টুইট বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে বর্ণনা করেছেন নমো।
আরও পড়ুন: এবার দুর্গাপুজোয় অংশ নিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন অমিত শাহ। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং দক্ষ নেতা। একজন অসামান্য প্রশাসক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তিনি দেশকে শক্তিশালী ও সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করে চলেছেন। সেই সঙ্গে সমবায় ক্ষেত্রে উন্নয়নে উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রেখেছেন’।
টুইট বার্তায় দলীয় ক্ষেত্রে শাহীর অবদান উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপিকে শক্তিশালী করতে যে অবদান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেখেছেন, তা প্রশংসনীয় বলে জানান। সেই সঙ্গে অমিত শাহের দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করছেন নমো। শুধু প্রধামমন্ত্রী নন। জন্মদিনে অমিত শাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়েছে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি কর্মী থেকে শুরু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব-ও। ১৯৬৪ সালের ২২ অক্টোবর মুম্বইতে জন্ম অমিত শাহর। কলজে জীবন থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশের আগে ১৯৯৭ সালে বিধানসভা উপনির্বাচনে তিনি গুজরাতের সারখেজ থেকে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৭ সালের নির্বাচনেও ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। গুজরাতে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন, স্বরাষ্ট্র দফতর সামলেছিলেন শাহ। তবে বিতর্কও কম তাড়া করেনি তাঁকে। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসায় অমিত শাহের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এরজন্য সিবিআই তদন্তেরও মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে।
যদিও পরে সমস্ত অভিযোগ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মুক্তি দেয় সিবিআই। ২০১৪ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেছে। দলীয় সভাপতি থাকাকালীন সবেচেয়ে বেশি সাফল্য এনে দিয়েছিলেন দলকে।
সভাপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদকালেই দেশের অধিকাংশ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে গুজরাতের গান্ধীনগর কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে সাংসদ হন অমিত। কেন্দ্রে মোদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভার নেন অমিত। বিজেপি প্রধান কৌশলী এবং নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী থাকাকালীন কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।