ইমিউনোথেরাপিতে ক্যান্সার সারিয়ে নজীর সৃষ্টি করলেন বিশিষ্ট ইমিউনোথেরাপিস্ট ডাঃ জামাল এ খান। বিগত ২০ বছর ধরে তিনি একের পর এক জটিল ক্যান্সার সারিয়ে তুলেছেন ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে। মানুষ যখন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও বিভিন্ন প্যাথিতে ক্যান্সার সারাতে পারছেন না তারাই ডাক্তার জামাল এ খানের কলকাতা,দিল্লি অথবা অন্য রাজ্যের ক্লিনিকে চিকিতসা করাতে এসে জটিল থেকে জটিল ক্যান্সার রোগ সারিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই।
এমনই এক ক্যান্সার রোগী গুজরাটের সুরাটের মহেশ ভাই প্যাটেল। মুখের ক্যান্সার রোগে তিনি দীর্ঘদিন ভুগছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় চিকিতসা করিয়েও ক্যান্সার নিরাময় হয়নি। তখনই ডক্টর জামাল এ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে এই রোগ সারিয়ে তোলেন ডাক্তার খান। মহেশ ভাই প্যাটেল বলেন, ডক্টর খান তার কাছে ভগবানের মতো।
আরও পড়ুন – জেলার সমস্ত স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করার নির্দেশ
যখন বিভিন্ন যায়গায় ডাক্তার দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরছ করেও রোগ সারাতে পারেনি কোনো ডাক্তার, তখন জামাল এ খান তার জটিল ক্যান্সার সারিয়ে তুলে তাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। ডক্টর খান বলেন, ক্যানসার রোগীরা সুস্থ হয়ে যখন বাড়ি ফিরে যান তখন তিনি খুব খুশি বোধ করেন। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার হাজার ক্যান্সার রোগীকে সুস্থ করেছেন তিনি। যারা এখন সম্পুর্ন সুস্থ্য জীবন যাপন করছেন। গুজরাটের মহেশ ভাই প্যাটেলের মতোই কলকাতার ইলিয়াস শেখ, দীর্ঘদিন ওরাল ক্যাভিটি ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
তিনিও বিভিন্ন জায়গায় চিকিতসা করিয়ে ক্যান্সার না সারায় শেষ পর্যন্ত কলকাতার ভি আই পি রোডে ডক্টর খানের ডেনভ্যাক্স ক্লিনিকে চিকিতসা শুরু করেন৷ অল্প দিনেই ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে ডক্টর খান তার ক্যান্সার সারিয়ে তোলেন । ইলিয়াস শেখ বলেন, তিনি এখন সম্পুর্ন ভালো আছেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। কলকাতার ডেনভ্যাক্স ক্লিনিকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডক্টর খান বলেন, এই পদ্ধতিতে ল্যাবরেটরিতে রোগীর রক্ত কণিকার মৌলিক ভিত্তি পরিবর্তন করে ক্যান্সার প্রিতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে এই রোগের মোকাবিলা করা সম্ভব। ডক্টর খান বলেন, খুব কম লোকই আছেন যারা এই পদ্ধতিতে চিকিতিসা করেন।
এই কারণেই ডাঃ খান সারা ভারতে তার ক্লিনিক বিস্তৃত করেছেন এবং আজ তার রোগীদের প্রতিটি রাজ্যে পাওয়া যায়। ডঃ খান অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন যে তিনি বিশ্বের উন্নত দেশে গিয়ে তার কাজ করতে পারেন কিন্তু তিনি এই সমস্ত সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেছিলেন যে শুধুমাত্র আমার দেশই আমার জন্য সেরা এবং আমার দেশবাসীর সেবা করা আমার কর্তব্য। সেই কর্ত্যব্যের তাগিদেই তিনি এ দেশে রয়ে গেছেন।