বাংলায় হারা আসনের দায়িত্ব ভাগাভাগি শাহ-নাড্ডার । জেপি নাড্ডা বঙ্গ সফরে এসে নদিয়ায় বিজেপির হারা কেন্দ্রে সভা করে গিয়েছেন। সেই কেন্দ্র নিয়ে দলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। রোড ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছেন। জেপি নাড্ডা চলে যাওয়ার পর এবার আসবেন অমিত শাহ। তিনি আবার কোনও হারা কেন্দ্রে যাবেন সভা করবেন, স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে প্রয়োজনীয় বার্তা দেবেন। বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব এবার বাংলায় ২৫টি আসনে জযের টার্গেট রেখেছে। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তাঁরা গতবারের তুলনায় বেশি আসন তো জিতবেনই। ২৫-এর আশেপাশে পৌঁছবেন তারা।
আর এই ২৫-এ পৌঁছতে কী করতে হবে, সেই দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। বিজেপির এই পরিকল্পনা স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপরই এবার নির্ভর করে থাকবে গেরুয়া শিবির। বঙ্গ নেতৃত্বের উপর এবারও তারা ভরসা করছে না। বিজেপি জিততে চায়। তাই সেই জয় আনতে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা এবার বাংলার ময়দানে নামছেন। বিজেপি এবার হারা ২৪টি কেন্দ্রের মধ্য থেকে ১৯টিতে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। সেইমতোই গেমপ্ল্যান সাজাচ্ছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা।
আরও পড়ুন – ভারত জোড়ো অভিযানের পরে এবার হাত সে হাত জোড়ো অভিযান
বিজেপি মনে করছে তারা বাংলায় গতবারের থেকে আরও বেশি আসনে জিতবে। বিজেপি ২০১৯-এর লোকসভায় ১৮টি আসনে জিতলেও বর্তমানে আসানসোলের মতো কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে। বারাকপুরও কার্যত হাতছাড়া বিজেপির। সেই নিরিখে রাজ্যে বিজেপির হারা আসন এই মুহূর্তে ২৬। আর বিজেপির হারা ২৬ আসনের মধ্যে ১১টি আসন রয়েছে, যেখানে জয় ও হারের ব্যবধান এক লাখেরও কম। সেই ১১ আসনকেই এবার টার্গেট করে গেমপ্ল্যান সাজিয়েছে বিজেপি। সেগুলি হল হাওড়া, দমদম, বারাসত, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, কাঁথি, ঘাটাল, বর্ধমান পূর্ব, বীরভূম, মালদহ দক্ষিণ।