নির্বাচনের আগে জাপান-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন সফরে হাসিনা , নির্বাচনের আগে বিদেশ সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে জাপান, তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং শেষে ব্রিটেন ঘুরে দেশে ফিরবেন তিনি। সফরের শুরুতেই বৃহস্পতিবার জাপানে গিয়ে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের বৈশ্বিক বিনিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরলেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। এদিন টোকিয়োর গ্যালাক্সি বল রুমে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে’র উদ্বোধন করেন তিনি। ‘বাংলাদেশ সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ এবং ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী জাপানী ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও জাপানের ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে ৫০ বছরের ঈর্ষণীয় সম্পর্ক দীর্ঘদিন অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। । অনুষ্ঠানে জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র মন্তনালয়ের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার এই তিন দেশ সফর নিয়ে পুরো বাংলাদেশে ব্যাপক চর্চা চলছে।
আরও পড়ুন – স্কুলকাণ্ডে ধৃত দেব আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন কী ভাবে? ভাবাচ্ছে মালদহ পুলিশকে
শেখ হাসিনা বলেন, “সরকারের বাস্তববাদী নীতির কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির একটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক কেন্দ্র হওয়ার পথে এগোচ্ছে।” তাঁর দাবি, বাংলাদেশে বিনিয়োগে ধারাবাহিকভাবে রিটার্ন বেশি হচ্ছে। ব্যবসাবান্ধব রাজস্ব নীতি ও আর্থিক প্রণোদনা, স্থিতিশীল গণতন্ত্র, বিচক্ষণ শাসন ও নেতৃত্বের নিশ্চয়তায় বিদেশী বিনিয়োগ লাভবান হয়েছে। জাপানী ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সুন্দর ফল দিচ্ছে। জাপানের নতুন নতুন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে স্বাগত।” দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবথেকে উদার বিদেশি বিনিয়োগ ব্যবস্থা বাংলাদেশেই বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বাজার, প্রচুর মানবসম্পদ, উচ্চ ক্রয়ক্ষমতা-সহ বিশাল দেশীয় উপভোক্তা বাজার থাকায় বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি অত্যন্ত লাভজনক স্থান। বিনিয়োগ সম্পর্কে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শও গ্রহণ করেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, এই সকল মতামতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।