আজ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হবে খেলা। এদিকে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ধাক্কা খেয়েছিল ভারতীয় শিবির। ডেঙ্গির কারণে দল থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারতীয় দলের ওপেনার ব্যাটার শুভমন গিল। যা নিয়ে বেশ চিন্তার ছাপ পরেছিল ভারতীয় শিবিরে। তবে এবার খানিক স্বস্তির খবর। হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে আমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন গিল। তবে কী তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগামী ১৪ তারিখ মাঠে নামতে চলেছে?
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ জরুরি ভিত্তিতে নবান্নে বৈঠক
ডেঙ্গির কারণে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাওয়া যায়নি তাঁকে। সেই ম্যাচে যদিও জয় পেয়েছিল ভারত। অন্যদিকে, আজ আফগানদের বিরুদ্ধেও তাঁকে পাওয়া যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে কী আগামী শনিবার আমেদাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন তিনি? আজ দিল্লিতে যখন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত, সেই সময় তিনি রওনা দেন আমেদাবাদের উদ্দেশ্যে। না নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে ক্রিকেট প্রেমীদের মনে।
আপাতত গিলের অবস্থা স্থিতিশীল। ডেঙ্গির বারবাড়ন্তে গত রবিবার চেন্নাইয়ের কাবেরি হাসপাতাল ভর্তি করা হয় তাকে। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এরপর আজ সকাল সকালই আমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, কমার্শিয়াল ফ্লাইটে চেপে আমেদাবাদে পৌঁছবেন তিনি। সঙ্গে থাকবে বিসিসিআইয়ের বিশেষ মেডিক্যাল টিম। যারা শুরু থেকেই নজরে রেখেছিলেন শুভমন গিলকে।
আগামী ১৪ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার, আমাদাবাদে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। তবে কী ওই ম্যাচে পাওয়া যাবে গিলকে? প্রশ্ন জাগছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মনে। যদিও এই বিষয়ে এখনও অবধি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, চেন্নাইতে গিয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে পরেছিল গিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর প্লেটলেট সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে। তারপরই তাঁকে চেন্নাইয়ের কাবেরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে চেন্নাইয়ের টিম হোটেলে ড্রিপ চালিয়ে রাখা হয়েছিল গিলকে। তবে প্লেটলেট সংখ্যা দ্রুত কমতে থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে চেন্নাইয়ের টিম হোটেলে ড্রিপ চালিয়ে রাখা হয়েছিল গিলকে। তবে প্লেটলেট সংখ্যা দ্রুত কমতে থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।