হঠাৎ অসুস্থ ‘কালীঘাটের কাকু’, নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএম হাসপাতালে , স্ত্রীর মৃত্যুর পর ‘কালীঘাটের কাকু’কে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। প্যারোলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সোমবার তাঁকে সংশোধনাগারে ফিরে আনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবারই প্যারোলের মেয়াদ শেষের পর তাঁকে সংশোধনাগারে ফেরানো হয়। কিন্তু জেলে ফিরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
স্ত্রীবিয়োগ পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা পরে সুজয়ের প্যারোলের মেয়াদ ১৬ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সোমবার ১৭ জুলাই তাঁর প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ফিরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। শর্ত অনুযায়ী, প্যারোলে সুজয়ের সঙ্গেই ছিলেন ইডি আধিকারিক। তাঁকে জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময়েও তাঁরা ছিলেন বলে সূত্রের খবর।
সদ্য সুজয়ের স্ত্রী বাণী ভদ্রের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তবে মৃত্যুর সময় স্ত্রীর কাছে থাকতে পারেননি সুজয়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অবস্থাতেই স্ত্রীবিয়োগের খবর পেয়েছেন তিনি। তার পর জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। তবে সুজয়কে স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য প্যারোলের মেয়াদ আরও কিছু দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে মুক্তির পাশাপাশি ‘কালীঘাটের কাকু’র জন্য বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন – ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের আগেই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল,পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী বাংলায় মিছিলের ডাক…
সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ জেলে নিয়ে যাওয়া হয় সুজয়কে। কিন্তু সূত্রের খবর, জেলে ফিরেই বমি করেন তিনি। এ ছাড়া, তাঁর বুকে ব্যথার সমস্যাও রয়েছে। সংশোধনাগারের চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে সুজয়ের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। দেখা যায়, তাঁর রক্তচাপ এবং অক্সিজেনের মাত্রায় কিছু তারতম্য হয়েছে। তার পর সাড়ে ১১টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ‘কালীঘাটের কাকু’কে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সুজয়কে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর ইসিজি করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।