লোকসভার আগে দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া বার্তা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের

লোকসভার আগে দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া বার্তা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের

দোড়গোড়ায় লোকসভা। আর তার আগে বঙ্গ বিজেপির দলের অন্দরের কলহের শেষ নেই। বারংবার দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা প্রশ্ন উঠেছে। আর এই আবহে দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া বার্তা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সুকান্তর কথায়, ”কেউ দলের ঊর্ধ্বে নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শাস্তি পেতেই হবে।” সামনেই দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই। তার আগে ঘরোয়া কোন্দলে জেরবার বঙ্গ বিজেপি। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ।যার জেরে এবার জেলার নেতাদের শোকজ। অগাস্টে সল্টলেকের অফিসে এসে অনেকেই বিক্ষোভ দেখান। সেই ঘটনায় পাঁশকুড়ার ২০ জন বিজেপি নেতাকে শোকজ করল বঙ্গ বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ আজ হাইকোর্টে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলার শুনানি

তবে শুধু পাঁশকুড়াই নয়, একাধিক জেলায় ঘরোয়া কোন্দলে বর্তমানে রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। কখনও সল্টলেকে বিজেপির অফিসে বিক্ষোভ। কখনও বা জেলা কার্যালয়ে। কখনও এ রাজ্য থেকে একমাত্র কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা অস্বস্তি। কখনও আবার সৌমিত্র খাঁ। অন্যদিকে বিজেপি অফিসেই তালাবন্দি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। লোকসভা ভোটের আগে যখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সবাইকে এক হয়ে চলার বার্তা দেওয়া হচ্ছে তখন বঙ্গ পদ্ম শিবিরে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে। বারবার পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। এবার তাই পদক্ষেপ। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পাঁশকুড়ার ২০ জন নেতাকে শোকজ করল বঙ্গ বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি।

 

সম্প্রতি পাঁশকুড়া বিধানসভা এলাকায় বিজেপির চারটি মণ্ডলের সভাপতি বদল করা হয়। এনিয়েই সেখানকার বিজেপির একাংশে ক্ষোভ। গত ২৪ অগাস্ট সল্টলেকে বিজেপির অফিসে এসে বিজেপির অনেকেই তুমুল বিক্ষোভ দেখান। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সম্প্রতি বারবার কোন্দলে জেরবার হয়েছে বিজেপি।

 

মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় বিজেপি অফিসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে তালাবন্দি করে রাখে বিজেপিরই একাংশ। রাজ্য নেতারা বলছেন, লজ্জার ঘটনা। কিন্তু সে সব শুনছে কে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও বিজেপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। মঙ্গলবার রাতে সোশাল মিডিয়ায় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুজিত অগস্তির মধ্যে একেবারে কথার যুদ্ধ। এই দুই বিজেপি নেতার বেসুরো হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। এক দিকে দলের অনুশাসন মেনে চলা আর অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কোনও মন্তব্য না করা, যা দলের অস্বস্তি বাড়ায়, সে ব্যাপারেও রাজ্য নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তার পরেও ছবিটা বদলায় কিনা তার উত্তর দেবে সময়ই।

en.wikipedia.org