নিয়োগ মামলায় এবার জামিন পেল মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। আজ শুক্রবার তার জামিন মঞ্জুর করল শীর্ষ আদালত। আদালত সূত্রের খবর, প্রসন্ন রায়কে জামিন দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলে বেঞ্চ।
গ্রুপ ডি এবং নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রসন্নের আইনজীবী অনির্বাণের কথায়, ”গ্রেফতারের পর এক বছর অতিক্রান্ত। আজও ট্রায়াল শুরু হল না। চার্জশিটে আসলে কী অভিযোগ, সেটাও মক্কেলকে জানানো হয়নি। তাই জামিনের আবেদন।’ সূত্রের খবর, এরপরই বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে তীব্র ভর্ত্সনা করে জানতে চান, ‘হোমরা চোমরাদের বাইরে রেখে এই সব ব্যবসায়ীদের আটকে রেখেছো?” সিবিআইয়ের তরফে সঠিক সদুত্তর না মেলায় এরপরই জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
জানা গিয়েছে, রঙ মিস্ত্রি ছিলেন প্রসন্ন রায়। তারপর ছোট ছোট কন্ট্র্যাক্ট ধরতেন রঙের কাজের। সেই করতে করতে আজকে নিউটাউনের বলাকা আবাসনে প্রসন্নর দুটি ফ্ল্যাট, চর্মনগরী থানা এলাকায় রয়েছে একটি বিলাসবহুল বাংলো। খান চারেক এসইউভি রয়েছে প্রসন্নর। যার আবার একটি গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেনা। সেটি মার্সিডিজ।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই মিসিং লিঙ্ক খুঁজতে গিয়েই জানা গিয়েছে দুর্নীতির বিষয়টা। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রসন্ন ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। পার্থর এক আত্মীয়র সঙ্গে বিয়ে হয়েছে প্রসন্নর। সিবিআই মনে করছে সেই সূত্রেই প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম দালাল। তাঁর অফিস হয়ে উঠেছিল টাকা লেনদেনের এপিসেন্টার।
বছর চারেক আগে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা খোলেন প্রসন্ন। সল্টলেকে সেই সংস্থার নামই আইডিয়াল কার রেন্টাল সার্ভিসেস। এই অফিসেই নিয়োগের দুর্নীতি হত বলে দাবি সিবিআই কর্তাদের।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই মিসিং লিঙ্ক খুঁজতে গিয়েই জানা গিয়েছে দুর্নীতির বিষয়টা। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রসন্ন ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। পার্থর এক আত্মীয়র সঙ্গে বিয়ে হয়েছে প্রসন্নর। সিবিআই মনে করছে সেই সূত্রেই প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম দালাল। তাঁর অফিস হয়ে উঠেছিল টাকা লেনদেনের এপিসেন্টার। বছর চারেক আগে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা খোলেন প্রসন্ন। সল্টলেকে সেই সংস্থার নামই আইডিয়াল কার রেন্টাল সার্ভিসেস। এই অফিসেই নিয়োগের দুর্নীতি হত বলে দাবি সিবিআই কর্তাদের।