রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগ মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতের মাঝেই হস্তক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই মামলায় আরও বেশ কিছু তথ্য চাইল আদালত। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘কোনও পক্ষকে বিশ্বাস না করলে সুপ্রিম কোর্টকে অন্তত বিশ্বাস করুন।’ রাজ্যে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আছে তার তালিকা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়, সেই তথ্য জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। শুধু তাই নয়, রাজ্য এই মুহূর্তে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে কী নিয়ম আছে, সেই নিয়মে কোনও পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব নথি জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ মামলায় এবার সিবি]আইয়ের বিচারপতিকে বদলি করার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
রাজ্যে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সংঘাতের শুরু। আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আদালতই একটি সার্চ কমিটি তৈরি করে দেবে। সেই কমিটি উপাচার্য নিয়োগ করবে। কমিটিতে কারা থাকবেন, সেই নামের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছিল রাজভবন, রাজ্য শিক্ষা দফতর ও ইউজিসি-কে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, কোনও পক্ষের মনোনীত বিশেষজ্ঞই কমিটিতে বাড়তি গুরুত্ব পাবে না। হাইকোর্টের নির্দেশ, কোনও ‘ইলেকশন প্রসেস’ নয়, ‘সিলেকশন প্রসেস’-এর মাধ্যমে হবে উপাচার্য নিয়োগ। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘যদি কোনও পক্ষকে যদি বিশ্বাস করতে না পারেন, অন্তত সুপ্রিম কোর্টকে বিশ্বাস করুন।’
বিশেষত ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো বিশেষ বিষয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে নির্দিষ্ট বিশেষজ্ঞ সার্চ কমিটিতে থাকেন, সেজন্যই বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং আইনজ্ঞদের নামের তালিকা নতুন করে চাওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই নাম জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এছাড়াও কমিটিতে রাখা যেতে পারে এমন বিখ্যাত বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, আইন বিশেষজ্ঞদের তালিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ৪ অক্টোবরের মধ্যে যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি ৬ অক্টোবর। সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্বে সার্চ কমিটি তৈরি হলে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জট কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।