জঙ্গলমহলে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর , কিষেনজির উদ্দেশ্যে কি বললেন বিরোধী দলনেতা ? নির্বাচনের প্রাক লগ্নে জোর প্রচার করছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবির। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে প্রচার শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের তোপসিয়ায় জনসংযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, নয়াগ্রামে পথসভা করেন তিনি। নয়াগ্রামে পথসভা চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মীকে স্লোগান দিতে শোনা যায়। নয়াগ্রামে সভা চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ” আমি কিষানজিকে সোজা করা লোক, আমি বেলপাহাড়ির অনিল মাহাতোকে সোজা করা লোক… আমার সঙ্গে এসব করে কিছু লাভ হবে না, আমি যা দেখে গিয়েছি চোখে, পঞ্চায়েত এর বদলা নেবেন তো?”
প্রসঙ্গত, গত ২৬শে জুন ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত তুঙ্গাধুঁয়া এলাকায় বিজেপির ১১ নম্বর জেলা পরিষদের আসনের প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতো কে সাঁকরাইল থানার ওসি মারধর করছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওসির মারে জখম হয়ে শুভঙ্কর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক শুরু হয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
নায়াগ্রমের সভার পরেই এদিন যাত্রাপথে হঠাৎ সাঁকরাইল থানার ওসির হাতে আক্রান্ত বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু।ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।এদিন সংশ্লিষ্ট ঘটনায় সাঁকরাইল থানার ওসিকে শুধু সাসপেন্ড নয়, তার গ্রেফতারিরও দাবি জানান শুভেন্দু।
পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর শুভেন্দু বলেন,”বিষয়টা অত্যন্ত নিন্দনীয় গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।তিনি একজন দুরারোগ্য ক্যান্সার রুগী।এখানকার ওসি যেভাবে এখানকার জেলা পরিষদের প্রার্থীকে আক্রমণ করেছে,এটার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে পশ্চিমবাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। তারা পার্টির ক্যাডারের থেকেও অধম।”
আরও পড়ুন – ওড়িশাতে উল্টো রথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৩, আহত ৮,
পাশাপাশি, তিনি এও জানান, বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোকে চাপ দেওয়া হয়েছিল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। শুভেন্দু পুলিশ আধিকারিকের উদ্দেশে বলেন, “সাঁকরাইল ব্লকে ওসি খন্দকার সাইফুদ্দিন আহমেদ কেশপুর থেকে জ্বালিয়ে এসেছেন। বহু থানাতে এর কুকীর্তি আছে, বালি তোলাতে ওস্তাদ। এই অফিসার এখানে অনেক জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী করতে দেয়নি”