রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের মতোই রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ নিয়েও শাসক-বিরোধী তরজা ! রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাননি শুভেন্দু! তৃণমূল বলছে ‘মিথ্যা কথা’, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) সংবর্ধনা দিতে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই অভিযোগ সামনে এনে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। সেই তথ্য-প্রমাণও পেশ করা হয়েছে তৃণমূল শিবিরের তরফে।
শুভেন্দুর এই টুইটের পরই প্রমাণ হিসেবে আমন্ত্রণ পত্র প্রকাশ করেছে তৃণমূল। দলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ওই আমন্ত্রণ পত্র প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের চাটুকারিতা করার জন্যই এ ধরনের কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল বলছে, ‘চাটুকারিতা করতে করতে শুভেন্দু ভুলেই গিয়েছেন যে তিনি আমন্ত্রিত। যদিও তৃণমূলের পেশ করা ওই আমন্ত্রণ পত্রকে ভুয়ো বলেই উল্লেখ করছে বিজেপি শিবির।’
সোমবার শুভেন্দু অধিকারী একটি টুইটে লেখেন, ‘যাঁরা তাঁর (দ্রৌপদী মুর্মু) বিরুদ্ধে ভোট দিতে লাইন দিয়েছিলেন, তাঁরাই আজ সংবর্ধনা দিতে সবার আগে মঞ্চে উঠবেন। আর যাঁরা লাইন দিয়ে তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁর সংবর্ধনায় আজ তাঁদেরই বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার। আমন্ত্রণও করা হয়নি।’সেই টুইটে তৃণমূল নেতাদের বেশ কিছু পুরনো বক্তব্যও তুলে ধরেছেন শুভেন্দু, যেখানে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন না করার কথা বলেছিলেন তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক।
আরও পড়ুন – সাংসদ পদ খারিজের পর রাহুল গান্ধীকে উচ্ছেদের নোটিস,এ বার ছাড়তে হবে বাংলো
যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে সস্তার রাজনীতি করছে। এত নিচে নেমেছে যে রাষ্ট্রপতিকে নিয়েও মিথ্যা কথা বলছে। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। হাস্যকর যুক্তি দিয়েছেন তাঁরা। আর ভোটটা ব্যক্তিগত ভোট নয়, দলীয় ভোট ছিল। ওদের লজিক মানতে গেলে, রাজ্য সরকারের কোনও অনুষ্ঠানে আসার কথা নয়। গণতন্ত্রে এসব চলে না। অর্বাচীনরা বোঝেন না।’