রাজ্যে লক্ষাধিক ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর

রাজ্যে লক্ষাধিক ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

রাজ্যে লক্ষাধিক ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর । আদিবাসী দিবসের দিন পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ক। তাঁর কথায়, অর্থের বিনিময়ে প্রচুর অযোগ্য প্রার্থীদের তপসিলি জাতি/উপজাতির সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, প্রকৃত প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংবনীর নবকুঞ্জ প্রাঙ্গণে এদিন মিটিং করেন বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকেই তাঁর হুঙ্কার, ‘ গোটা রাজ্য অন্তত লক্ষাধিক লোককে ভুয়ো এসটি সার্টিফিকেট দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এসটি হওয়ার দরকার নেই, তাঁদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, অনেকেই অনগ্রসর শ্রেণি দফতরের থেকে অর্থের বিনিময়ে জাতিগত শংসা পত্র পেয়েছেন।

 

 

 

 

 

জাতিগত শংসা পত্রের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার দুই ভাগ করেছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর দাবি, ‘একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকা ভুক্ত করে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে হিন্দু কুড়মি ওবিসি সম্প্রদায়ের বঞ্চিত করা হয়েছে। এরকম কোনও রাজ্যে পাবেন না।’

 

 

 

 

 

এদিনের সভায়, জনজাতি সমাজের প্রতি রাজ্য সরকারের অবহেলার অভিযোগ তুলে ধরেন শুভেন্দু। তিনি জানান, সামান্য কিছু বেতনের ভিত্তিতে জঙ্গলমহলের যুবক-যুবতীদের পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। শাসক দলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ এই চোরেরা জাত পর্যন্ত বিক্রি করছে টাকার জন্য।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও অনেকে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে নির্বাচনে লড়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।

 

 

 

আরও পড়ুন –  কালীঘাটের কাকুকে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে অনুমতি হাইকোর্টের, জামিন নামঞ্জুর

 

 

 

 

জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়ে তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাজেটে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে আবাসিক একলব্য স্কুল বানানোর জন্য অর্থ দেওয়ার কথা ছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘ আমাদের এই রাজ্যে নয়টি জেলাতে এই একলব্য স্কুল করার জন্য কেন্দ্র থেকে অনুমোদন এসেছিল। রাজ্যের কাছে জমি চাওয়া হয়েছিল স্কুল নির্মাণের জন্য।’ তবে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার জমি দেওয়ার বদলে সরাসরি আর্থিন অনুদান চেয়েছিল। শাসক দলকে আর্থিক তছরুপ করার উদ্দেশে সরাসরি আর্থিক অনুদান চেয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top