ডিভোর্স দিতে হবে স্ত্রীকে?বিপত্তিতে কলকাতার 15 যুগল,

ডিভোর্স দিতে হবে স্ত্রীকে?বিপত্তিতে কলকাতার 15 যুগল,’এতদিন ঘর করার পর আবার বিয়ে! ইয়ার্কি হচ্ছে!’প্রথমে স্বামীর কথায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন স্ত্রী।কাঁচুমাচু করে স্বামীর মন্তব্য ছিল,”রেজিস্ট্রি পেপারে গড়বড় হয়েছে।আবার বিয়ে না করলে আইনত তো বর-বউ হতে পারব না।” অবাক দৃষ্টিতে স্বামীর দিকে তাকিয়েছিলেন মহিলা।কোভিড-লকডাউনে বিয়ে করে যে এভাবে ফাঁপরে পড়তে হবে তাঁদের,তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। করোনার সময় বিয়ে করে বেজায় বিপত্তিতে পড়েছেন কলকাতার ১৫ যুগল।তাঁদের পুনরায় বিয়ে করতে হবে।আর সেই জন্য জেলা আদালতে গিয়ে নিতে হবে ডিভোর্স এবং পুনরায় বিয়ের জন্য করতে হবে আবেদন।আর নিজের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করে ফের বিয়ে করার আগে বেশ হোঁচট খেতে হচ্ছে এই ১৫ যুগলকে।

 

 

 

 

করোনার সময় অনেকেই কাছের মানুষের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন।রেজিস্ট্রি করে সেরেছিলেন বিয়েও।কিন্তু,লকডাউনে হওয়া বিয়ের মধ্যে প্রায় আট হাজার বিয়ের ক্ষেত্রে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রসঙ্গে উঠেছে প্রশ্ন।বেশ কিছু তথ্যে গরমিল পাওয়া গিয়েছে এই ক্ষেত্রে।কিন্তু,১৫ জন যুগলের বিয়ে আইন মোতাবেক রেজিস্ট্রি করা সম্ভবই নয় বলে জানা গিয়েছে।

 

 

 

 

 

এক সরকারি আধিকারিকের কথায়,দফতরের তদন্তে জানা গিয়েছে,এই যুগলদের ভুল পথে চালিত করেছিলেন ম্যারেজ রেজিস্ট্রার।ডানলপের এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার তাঁদের আশ্বাস দেন যে পুরো বিষয়টি আইনি পথেই হচ্ছে এবং কোনও সমস্যা হবে না।করোনা এবং লকডাউনের সুযোগ নিয়েছিলেন তিনি। কোনও ‘ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন’ করতে হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।আর তাঁকে ভরসা করেই আইনি জটিলতায় জড়াতে হয়েছে এই ১৫ যুগলকে।সেক্ষেত্রে বিচ্ছেদ করে আবারও বিয়ে করা ছাড়া তাঁদের কাছে আর কোনও উপায় নেই।তা না হলে ভবিষ্যতে একাধিক ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের।

 

 

 

আরও পড়ুন –   এবার কলকাতা থেকে সহজেই ট্রেনের মাধ্যমে বিদেশে যেতে পারা যাবে

 

 

 

কিন্তু, কেন এই বিপত্তি?বিয়ে করেও কেন নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলতে পারবেন না এই যুগলরা?এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন,”এই ১৫টি বিয়ের শংসাপত্র আইন মেনে করা সম্ভব নয়। উদাহারণস্বরূপ,কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাক্ষীদের নাম উল্লেখ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা নেই। এমনকী,বহু সাক্ষীর ফোন নম্বরও সচল নয়।” এক্ষেত্রে অনেকক্ষেত্রেই ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের দোষ দেখছেন আধিকারিকরা।ফলে জেলা কোর্টে ডিভোর্সের জন্য আবেদন করে এই ১৫ জন যুগলকে আবারও আইনি মতে বিয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।