গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে শুভেন্দু, কৌস্তভ

গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে শুভেন্দু, কৌস্তভ

বুধবার গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের পূর্ব নির্ধারিত মিছিলে হাঁটলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Kaustav bagchi)। যার ফলে চাকরিপ্রার্থীদের অরাজনৈতিক এই কর্মসূচিও রাজনীতির ছোঁয়ার বাইরে রইল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। যদিও শুভেন্দু (Suvendu Adhikari, কৌস্তভদের (Kaustav bagchi) দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থেই এই অরাজনৈতিক মিছিলে তাঁদের অংশগ্রহণ।

আরও পড়ুনঃ আগামী ৫ অক্টোবর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

চাকরির দাবিতে এদিন দুপুরে শহরে মিছিলের ডাক দিয়েছিল গ্রুপ ডির চাকরি প্রার্থীরা। ‘থিয়েটার রোড এবং ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে মিছিল শুরু হয়ে নিজাম প্যালেসের সামনে দিয়ে রবীন্দ্রসদন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড হয়ে হাজরা মোড়ে শেষ হবে। অর্থাৎ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের পাশ দিয়ে হেঁটে যায় মিছিল।

 

রীতিমতো মশাল হাতে খালি গায়ে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় চাকরি প্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এদিনের মিছিলে ছিলেন কিছু অভিভাবকও। তাঁরা নিজেদের সন্তানের চাকরির দাবিতেই এদিনের মিছিলে হাজির হয়েছেন বলে জানান। চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, “চাকরির দাবিতে ৪০০ দিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। আজও দাবি পূরণ হল না।”

রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে ছুটি কাটাতে যান আর রাজ্যের ১০টি সংগঠনের ব্যানারে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বছরের পর বছর চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করে। তাই নৈতিক সমর্থন জানাতেই মিছিলে অংশ নিয়েছি।” একই প্রতিক্রিয়া জানান কৌস্তভও।

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তো বটেই এরাজ্যেও পরস্পর বিরোধী অবস্থানে কংগ্রেস এবং বিজেপি। এহেন দুই দলের নেতা একই মঞ্চে পাশাপাশি হাঁটা নিয়ে আগামী দিনে কোনও নতুন রাজনৈতিক সম্ভবনা তৈরি হবে কীনা তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এই সম্ভবনার প্রসঙ্গ উড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিজেপি হিসেবে নয়, বিরোধী দলনেতা হিসেবে এই মঞ্চে হাজির হয়েছি।” আরও একধাপ এগিয়ে কটাক্ষের সুরে কৌস্তভ বলেন, “চাইলে মুখ্যমন্ত্রীও এই মিছিলে অংশ নিতে পারতেন!”

মিছিলের রুট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য ছিল,ওই রুটে অনেকগুলি স্কুল রয়েছে। যদিও রাজ্যের সেই আর্জি খারিজ করে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ,, ক্যামাকস্ট্রিটে কোনও স্কুল নেই। এটা কোনও বিক্ষোভ সমাবেশ নয়, ওখানে কেউ বসবে না। তাঁরা মিছিল করে চলে যাবেন। তাঁদের মিছিল যাতে যেতে পারে, পুলিশ সেই ব্যবস্থা করবে।

en.wikipedia.org