স্কুলের ভিতরে দুষ্টুমির ‘শাস্তি ! স্যারের মারে আহত প্রাথমিকের ২ পড়ুয়ার, ছোটবেলায় স্কুলে গিয়ে কমবেশি দুষ্টুমি কে না করে! শিক্ষকরাও (teacher) কখনও তাদের স্নেহের বশে প্রশ্রয় দেন, আবার প্রয়োজনে বকুনি দিয়ে শান্তও করেন। কিন্তু দুষ্টুমি করার জন্য ক্লাস টু-থ্রি’র বাচ্চাদের (student) মেরে অসুস্থ করে দেওয়া! এমনটা সত্যিই সচরাচর দেখা যায় না। ঠিক এই ঘটনাই ঘটল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, দুই ছাত্রকে মেরে কান ফাটিয়ে দিয়েছেন স্কুলেরই (school) এক শিক্ষক।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের ভোটপট্টির আরআর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল চলাকালীন কয়েকজন ছাত্র দুষ্টুমি করছিল। সেইসময় তাদের দেখতে পেয়ে বেধড়ক মারেন স্কুলের শিক্ষক সজল দেব। আঘাত লাগে বাচ্চাদের কান ও ঘাড়ে। এরপরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে দুই ছাত্র।
বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি দু’জনের বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়। এরপর জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুই পড়ুয়াকে। সেখানে চিকিৎসক তাদের দেখামাত্রই হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়। এদের মধ্যে একজনের নাম রাজু রায়। সে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। অপরজন অনিমেষ বসাক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
অপর ছাত্রের কাকা উত্তম বসাক বলেন, “এই শিক্ষক বাচ্চাদের খুব মারে। উনি স্কুলে নেশা করে আসেন। আজ আমার ভাইপোকে বেধড়ক মেরেছে। ভাইপো স্কুলে অসুস্থ হয়ে যায়। আমরা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলাম। ডাক্তার দেখে ভর্তি করে
নিয়েছে। আমি শিক্ষকের শাস্তি চাই।”
আরও পড়ুন – জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে তাকে শুইয়ে দেওয়া ধর্ষণ করারই সমতুল্য,রায় দিল…
হাসপাতাল থেকেই এই মারধরের কথা জানাজানি হয়ে যায়। খবর পেয়ে এই ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের জন্য এসআই-কে নির্দেশ দিয়েছেন ডি আই প্রাইমারি শ্যামল চন্দ্র রায়। তবে এখনও ওই দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাঁরা জানিয়েছেন, আগে দু’জনের চিকিৎসা হোক। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।
রাজুর মা জ্যোৎস্না রায় বলেন, “এই শিক্ষক প্রায়শই বাচ্চাদের মারধর করে। ভয়ে স্কুলে আসতে চায় না বাচ্চারা। আমরা বুঝিয়ে শুনিয়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাই। আজ আমার ছেলে সামান্য দুষ্টুমি করেছিল। শিক্ষক মারে। আঘাত লাগে কানে। রক্ত বেরিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি স্কুলে গিয়ে বাচ্চাকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে এলাম। আমি শিক্ষকের শাস্তি চাই। বাচ্চা সুস্থ হোক পরে লিখিত অভিযোগ করব।”