পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের দাবি তদন্তকারীদের, পার্থ আর অয়নের মাঝে সেতুবন্ধনে ছিলেন কুন্তল! এ কথা বলেছেন শান্তনুই, আদালতে দাবি করল ইডি ,ওই দু’জনের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতেন ওই জেলার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রবিবারই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অয়নকে গ্রেফতার করেছে। অয়নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে কোটি কোটি টাকা (অন্তত ৫০ কোটি) লেনদেনের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। আদালতকে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগে দুর্নীতির টাকা অয়নের হাত থেকেই পার্থের কাছে পৌঁছত বলে জানতে পেরেছে তারা।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি ওই নেতাকে চেনেন কি না। পার্থ স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘চিনি না।’’ এমনও শোনা গিয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলে ঘটনাচক্রে দু’জনের দেখা হয়ে যেতেই নাকি কুন্তলকে পার্থ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘এই তুমি আমাকে চেনো? তুমি আমার নামটাই নিলে?’’ তবে ইডিকে দেওয়া শান্তনুর বয়ান মানলে পার্থ এবং কুন্তল পরষ্পরকে ভাল মতো চেনেন। এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে অর্থ লেনদেন সূত্রে যোগাযোগও হয়েছে দু’জনের।
আরও পড়ুন – বগটুইকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল ,গ্রামে যাবেন শুভেন্দু, বিজেপির পাল্টা শহিদ…
সোমবার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয় অয়নকে। আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু নথি এবং প্রমাণ পেশ করেছে ইডি। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ এবং অয়নের মধ্যে যোগাযোগের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ওই নথিতে। বিচারককে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনের চ্যাটবক্স ঘেঁটে এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেই এ বিষয়ে জানতে পেরেছে তারা। আদালতে ইডির দাবি, তদন্তকারীদের শান্তনু জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে টাকা অয়ন সংগ্রহ করতেন, তা এজেন্ট মারফৎ পৌঁছে যেত পার্থের কাছে। আর শান্তনু-ঘনিষ্ঠ হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ছিলেন তেমনই এক এজেন্ট। তবে একা কুন্তল নন। তাঁর পাশাপাশি আরও অনেক এজেন্টই পার্থ এবং অয়নের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতেন!