গ্রাম উন্নয়নের জন্য রাজ্যকে প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক

বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবনে মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী

১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, সেই সংঘাতের আবহে রাজ্যকে প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কেন্দ্র প্রাথমিক সম্মতি দিল রাজ্যকে। বিভিন্ন সময় রাজ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থ না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন। খোদ সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধে রসুনের তেলের ব্যবহার, কীভাবে, দেখেনিন

রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, আইএসজিপি বা “ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনিদেনিং অফ গ্রাম পঞ্চায়েত” এই প্রজেক্ট চালুর জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সম্মতি জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে থেকে সম্মতি আসার পর ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর কেন্দ্রকে একটি লিখিত প্রস্তাব পাঠাচ্ছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

 

মূলত বিশ্ব ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের’ অনুমোদন লাগে। কিছুটা সংশয় থাকলেও নবান্নের কাছে প্রাথমিকভাবে সম্মতি আশায় সংশয় অনেকটাই কেটেছে নবান্নের আধিকারিকদের। এই প্রজেক্টের তৃতীয় পর্যায়ে বা ফেস-৩ প্রকল্পের জন্য এই টাকা খরচ করা হবে। এই টাকা দিয়েই পঞ্চায়েতের আধুনিকীকরণ, কর্মীদের প্রশিক্ষণ-সহ পরিকাঠামো সংক্রান্ত একাধিক কাজ করা হবে। ২০২৯ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। নবান্ন সূত্রে খবর এই প্রকল্প রূপায়নে রাজ্যের পারফরম্যান্স খুব ভাল হওয়ায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্যের কাছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

 

এই আইএসজিপি প্রকল্প ভালভাবে রুপায়ন করার জন্য রাজ্য সরকারকে “হাইলি স্যাটিসফেক্টারির রেটিংও” দেওয়া হয়েছে বলে ও নবান্ন সূত্রে খবর। নবান্ন সূত্রে খবর ২০১০ সাল থেকে এই আইএসজিপি প্রকল্প বা “ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অফ গ্রাম পঞ্চায়েত” এই প্রকল্প শুরু হয়। রাজ্যের মোট এক হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি এই প্রকল্পেরই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ করার জন্য অনুমোদন দেয় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই প্রকল্পের অধীনেই রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে অনলাইন প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে।

 

পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় বাজেট পেশ করা, অনলাইন টেন্ডারিং চালু করা, বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, বিশ্ব ব্যাঙ্কের চুক্তি অনুযায়ী ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমোদন আশা এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে প্রাথমিকভাবে অর্থ পাওয়ার সবুজ সংকেত আশায় আপাতত রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করছে নবান্নের শীর্ষ মহল।

en.wikipedia.org